ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের কোথাও কি বেআইনি বাজি (Fire Cracker) তৈরি হচ্ছে? কোথাও যদি বেআইনি বাজি তৈরি হয়, তার খোঁজ দিলেই মিলবে নগদ পুরস্কার। বৃহস্পতিবার এমন কথাই জানালেন পরিবেশ মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইঞা। তিনি আরও জানান, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে সবুজ বাজি বিক্রি এবং পোড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে পরিবেশ দপ্তর। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিন দক্ষিণ কলকাতার বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বাজি পোড়ানো নিয়ে সতর্ক করেন। বলেন, “মনে রাখবেন আপনার আনন্দ যাতে অন্য কারও দুঃখের কারণ না হয়।”
এদিন সল্টলেকে প্রাণিসম্পদ ভবনে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (Pollution Control Board) চেয়ারম্যান-সহ সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবেশমন্ত্রী। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, পুলিশের সহযোগিতায় কিছুদিনের মধ্যে বাজি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন বাজি পরীক্ষা করা হবে। সবুজ বাজির আওতার বাইরে থাকা সমস্ত বাজিকে নিষিদ্ধ করা হবে।
বাংলায় এই মুহুর্তে সবুজ বাজির কারখানা তেমন নেই। নিরি এবং প্রেস এই দু’টি সংস্থার উপরে পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড দায়িত্ব দিয়েছে যে সবুজ বাজি আওতায় কী কী পড়বে এবং কত ডেসিবল অব্দি আওয়াজ হবে সেগুলো নির্ধারণ করতে। কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ অনুযায়ী আটটা থেকে দশটা অবধি বাজি পোড়াতে পারবে। এবার সবুজ বাজি পোড়ানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হচ্ছে পরিবেশ দপ্তরের তরফ থেকে।
মন্ত্রী এদিন আরও জানান, বিভিন্ন কমিশনারেট, কর্পোরেশন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সকলকে নিয়ে পরিবেশ দপ্তর একটি বৈঠক করবে। সবুজ বাজি পোড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্কুলে প্রচারও চালাবে তারা। এছাড়া কালীপুজোর দিন রাজ্যের ভিতর কোথায়, কত ডেসিবল বাজি ফাটছে তা প্রায় দেড়শো জায়গা থেকে লাইভ রেকর্ড পাওয়া যাবে কন্ট্রোলরুমে। এছাড়াও পরিবেশ দপ্তরের যে কন্ট্রোল রুম আছে সেই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.