সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ যাত্রা – ‘মিশন গগনযান’ (Gaganyaan)। ২০২২এ তিন নভোশ্চর-সহ মহাশূন্যে পাড়ি দেবে মহাকাশযান। এর জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তাঁরা। সেই প্রশিক্ষণের শেষ ধাপ সম্পূর্ণ হবে এ দেশের মাটিতেই। ইতিমধ্যে ‘মিশন গগনযান’ নিয়ে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল আরেক বন্ধু দেশ ফ্রান্স। সেখানকার উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। সম্প্রতি ভারত এবং ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তা স্থির হয়েছে।
আগামী বছর ফরাসি মহাকাশচারী থমাস পেস্কো পাড়ি দেবেন মহাকাশে। ‘মিশন আলফা’য় ক্রিউ ড্রাগন স্পেসক্র্যাফট (Crew Dragon spacecraft) ওড়াবেন তিনি। আপাতত সেই প্রশিক্ষণই নিচ্ছেন থমাস। এর মাঝে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে আলোচনা হয়। ফরাসি মহাকাশ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পেস স্টাডিজ (CNES) সূত্রে খবর, ভারতের ‘মিশন গগনযান’এর জন্য ফ্রান্সের ‘মিশন আলফা’য় যে ধরনের উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমনটাই তৈরি করে দেওয়া হবে।
মহাশূন্যে চিকিৎসার জন্য কী কী বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, তাও ফ্রান্সের নখদর্পণে। তাই স্থির করা হয়েছে, আগামী বছর ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট অফ স্পেস মেডিসিন অ্যান্ড ফিজিওলজিতে (MEDES) প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে ভারতের বাছাই করা স্পেস সার্জনদের। ইসরোর এক আধিকারিকের কথায়, ”করোনা কাল কাটলে নির্বাচিত কয়েকজন স্পেস সার্জন ফ্রান্সে যাবেন প্রশিক্ষণের জন্য।”
CNES’এর আধিকারিক জানিয়েছেন, ”আলোচনা এই মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দ্রুতই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। ‘মিশন আলফা’য় কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে এখনও কাজ চলছে।” আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি থাকলেও, বন্ধুত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির খাতিরে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কাজ ফ্রান্সের ভূমিকা যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আগামী বছর থমাস পেস্কোর ‘মিশন আলফা’র দিকে তাকিয়ে ইসরো। সেই মহাকাশ অভিযানের পরই বোঝা যাবে, যন্ত্রপাতি-সহ এই ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত কোন কোন দিক থেকে পিছিয়ে ভারত। তবে আপাতত পাখির চোখ, ২০২২এর মিশন ‘গগনযান’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.