সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ডাইনোসরের (Dinosaur) ফসিলের (Fossils) সন্ধান মিলেছিল উনবিংশ শতাব্দীতে। ক্রমে পরিষ্কার হয়ে যায়, একদিন এই নীল গ্রহের শাসক ছিল তারাই। কিন্তু কালের নিয়মে অবলুপ্ত হয়ে যায় অতিকায় প্রাণীদের রাজপাট। আজও ডাইনোসর নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন গবেষকরা। সম্প্রতি চিলিতে সন্ধান মিলেছে এমন এক ডাইনোসরের প্রজাতির, যার অস্তিত্ব এতদিন অজানাই ছিল। কুকুরের আকারের ভয়ংকর জীবটির সবচেয়ে বিপজ্জনক হাতিয়ার ছিল তাদের লেজ। সেখানে ধারালো ব্লেডের মতো বিভিন্ন অংশ লাগানো থাকত, যা শত্রুকে মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারত। এই নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়ে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক জার্নাল থেকে জানা যাচ্ছে এই ডাইনোসরদের সম্পর্কে। মোটামুটি সাড়ে ৭ কোটি বছর আগে চিল্লির ওই অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত স্টেগাসরাস এলেঙ্গাসেন। চেহারায় স্টেগাসরাসের সঙ্গে মিল থাকাতেই এই নাম। যদিও মনে করা হচ্ছে স্বভাব চরিত্রে স্টেগাসরাসের থেকে এরা আলাদাই ছিল। এদের খুলি ও অন্যান্য হাড়ের পাঁচ রকম ডিএনএ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্টেগাসরাসের সঙ্গে এদের মিল সামান্যই।
নয়া এই প্রজাতির ডাইনোসরদের দু’টি বিষয় বিজ্ঞানীর সবথেকে বেশি অবাক করেছে। এক, চিলির ওই অঞ্চলে এই ধরনের প্রাণী থাকতে পারে, তা এতদিন ধারণাতীত ছিল। দুই, ধারালো লেজ। যা দেখে চিলির জীবাশ্মবিদ ভার্গাস বলেছেন, ”এটা সত্য়িই একেবারেই অপ্রচলিত অস্ত্র। প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের নিয়ে ছোটদের বইয়ে এটার কথা ঢোকানো হোক। এটা সত্য়িই আশ্চর্যজনক।”
তবে বিপজ্জনক এই প্রাণীটি মোটেই মাংসাশী নয়। এরা স্টেগাসরাসের মতোই তৃণভোজী। সম্ভবত প্রায় ৬ ফুটের এই প্রাণীটি ওই অস্ত্রের প্রয়োগ করত আত্মরক্ষার্থে। দীর্ঘাকায় যে সব ডাইনোসররা তৃণভোজীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত তাদের থেকে বাঁচতেই এই অভিযোজন হয়েছিল তাদের লেজে। প্রথমে যখন তাদের ফসিল মিলেছিল তখন সেটিকে অন্য প্রজাতির প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়েছিল। পরে আবিষ্কৃত হয় সম্পূর্ণ নতুন এই প্রজাতিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.