ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে হাতিদের (Elephant)চলাফেরার জন্য মোট সাতটি করিডর করবে রাজ্যের বনদপ্তর। পুজোর পর সেই এলাকা সরেজমিনে যাবেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। হাতি গ্রামে ঢুকে ফসল, বাড়ি নষ্ট করার পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনার খবর নতুন নয়। কিন্তু হাতির এই যাতায়াত রোখার কোনও উপায় নেই। সেই কারণেই তার করিডর করে দেওয়ার ভাবনা।
বনদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় দু’টি করে, পুরুলিয়ায় একটি – মোট সাতটি করিডর (Corridors) করা হবে। সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। পাশাপাশি, গ্রাম বা বসতি এলাকায় হাতির প্রবেশ রোখার জন্য তাঁর পছন্দের খাবারের মধ্যে বিশেষ করে চালতার বন ও বাঁশবন তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রীর কথায়, ধান, গমের মতো যে কোনও রকম পাকা ফসলের পাশাপাশি মহুয়া হাতির খাবারের মধ্যে প্রিয়। এসব ছাড়াও চালতা ও কচি বাঁশ তাদের বিশেষ পছন্দের। সেই কারণেই গ্রামে হাতির ঢোকা রুখতে হাতির করিডরের কাছেই চালতা বা বাঁশবন তৈরির ভাবনা রয়েছে বনদপ্তরের। যাতে খাবারের সন্ধানে গ্রামে না ঢুকে তার আগেই নিজের পছন্দের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে যায় গজরাজের দল। এমনই জানিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
খাবারের খোঁজে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কখনও গ্রামে, কখনও খেতে, কখনও আবার জাতীয় সড়কে চলে আসে হাতির দল। সম্প্রতি বনাঞ্চলে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। রেশন দোকান লুট করে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা খাবারের ট্রাকে হানা দিয়ে অনেক সময়ই সমস্ত খাবার খেয়ে নিচ্ছে তারা। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত, জঙ্গলের পরিবেশ বদলে পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় তারা লোকালয়ের দিকে এভাবে চলে আসছে। আর সেই কারণেই বনদপ্তরের পরিকল্পনা, গ্রাম বা লোকালয়ে প্রবেশের মুখেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার। পাশাপাশি করিডর তৈরি করে তাদের সুরক্ষাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.