সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই আধুনিক হচ্ছি আমরা। বদলাচ্ছে জীবনযাত্রা। তার জেরে একটু একটু করে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে গোটা পৃথিবী। মাছের পেট থেকে প্লাস্টিক উদ্ধারের ঘটনায় সেই সংকটই যেন আরও প্রকট হয়েছে। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মাছের পেট থেকে প্লাস্টিক বেরনোর ঘটনা। স্পেনের এই ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিবেশপ্রেমীদের। পৃথিবী ধীরে ধীরে বিপন্ন হচ্ছে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।
সম্প্রতি স্পেনের এক মৎস্যজীবী মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা মারা যায়। মাছের মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও কারণ রয়েছে বলেই মনে করেন মৎস্যজীবী। তাই তিনি মাছের পেট কাটেন। পেটের ভিতরে আঙুল ঢোকাতেই অবাক হয়ে যান তিনি। ছোট্ট একটি মাছের পেট থেকে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগ বের করেন মৎস্যজীবী। প্রায় ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড ধরে এই কাজ করেন বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক। তিনি সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
Fish found with a stomach full of plastic. pic.twitter.com/ymdkwGmAsb
— 🌏💧Yasmin Scott (@YASMINSCOTTREAL) January 22, 2020
ওই ভিডিওটি বিদ্যুতের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও দেখে চোখ কপালে উঠছে পরিবেশপ্রেমীদের। অনেকেই বলছেন, “একটি ছোট মাছের পেটের ভিতর যদি এত প্লাস্টিক পাওয়া যায়। তবে তিমির পেটে কী না থাকতে পারে?” আবার কারও কারও দাবি, মানবসভ্যতার উন্নতি পশু এবং জলজ প্রাণীদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।
*Plastic is harmful for Earth*
—– Known FactHeart touching video showing the fish accidentally caught in plastic bag is struggling for life.
Please avoid using Plastic 🙏#SaveEarth#plasticpollution #PlasticFreeEarth pic.twitter.com/My36elZKrD
— Hemalatha (@Hemalathanarne) January 3, 2020
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও প্লাস্টিক পেটে ঢুকে যাওয়ায় তিমি মাছের মৃত্যুর ঘটনা শিরোনামে জায়গা কেড়ে নিয়েছে। যেখানে সেখানে সিগারেটের শেষাংশ ফেলে রাখার দরুণ ছোট্ট পক্ষীশাবকের মুখে নেশার দ্রব্য তুলে দিতে দেখা গিয়েছে তার অবলা মাকে। এমন নানা ঘটনা চোখের সামনে দেখেও নিশ্চুপ আমরা। সত্যি কি কখনও বদলাবে না আমাদের অভ্যাস? পশু, পাখি, মাছেদের মতো প্রাণীর বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে আর কতদিন অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে মানবজাতির উন্নতি? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর অধরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.