সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবী নামের এই গ্রহে আমাদের বাস হলেও ব্যাপক অর্থে আমরা সকলেই কসমসের (Cosmos) বাসিন্দা। তাই পৃথিবী ও তার প্রাণপ্রাচুর্যের স্বরূপকে বুঝতে এই ব্রহ্মাণ্ডকে চেনা জরুরি। সেই চেষ্টাই বছরের পর বছর ধরে করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরে নানা গ্রহ, যাদের ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ (Exoplanet) বলা হয় তাদের নিরীক্ষণ করে নানা তথ্য হাতে এসেছে। কিন্তু এবার এমন এক গ্রহের দেখা মিলল, যা অবস্থিত এই বিশাল ছায়াপথেরও বাইরে! মেসিয়ার ৫১ তথা এম৫১ গ্যালাক্সির মধ্যে রয়েছে সেই গ্রহটি। নাসার চন্দ্র এক্সরে অবজার্ভেটরির এই আবিষ্কার ঘিরে শোরগোল বিজ্ঞানী ও মহাকাশপ্রেমী মহলে।
এযাবৎ প্রায় ৪ হাজার এক্সোপ্ল্য়ানেটের সন্ধান মিলেছে। তাদের কারও চেহারা-চরিত্র প্রায় পৃথিবীর মতো। কোনও কোনও গ্রহের সঙ্গে বৃহস্পতির উষ্ণ চরিত্রের মিল। এছাড়াও আরও নানা ধরনের গ্রহের দেখা মিলেছে। কিন্তু সেগুলি কোনওটিই ছায়াপথের বাইরে নয়। অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে ৩ হাজার আলোকবর্ষের মধ্যেই অবস্থিত সেই গ্রহগুলি। কিন্তু ওই গ্রহটি প্রায় ২.৮ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। সুদূরে অবস্থিত এই গ্রহটি পাক খাচ্ছে একটি ব্ল্যাকহোলের চারপাশে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহটির সঙ্গে মিল রয়েছে শনিগ্রহের।
গবেষক দলের প্রধান রোজান ডি স্টেফানো জানাচ্ছেন, ”এক্স রে-র সাহায্যে আমরা নতুন নতুন গ্রহের অনুসন্ধান পেয়েছি। লক্ষ্য আরও নতুন ধরনের বিশ্বের অন্বেষণ করা। এই পদ্ধতিতেই এবার অন্য ছায়াপথে অবস্থিত গ্রহকেও নিরীক্ষণ করা সম্ভব হল।”
ঠিক কীভাবে বিজ্ঞানীরা অত দূরে অবস্থিত গ্রহদের খোঁজ পান? এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য নক্ষত্র থেকে নির্গত আলোর গতিপথ অনুসরণ করা হয়। যখনই কোনও গ্রহ তার সম্মুখে আসে তখনই সেটি আলোর গতিপথ রুদ্ধ করে। ফলে আলোর গতিপথের দিকে নজর রাখলেই গ্রহটিকেও নজর করা সম্ভব হয়। পৃথিবীতে অবস্থিত টেলিস্কোপের পাশাপাশি মহাকাশে অবস্থিত টেলিস্কোপের সাহায্যেও নিয়মিত নজরদারি চালান বিজ্ঞানীরা। আর এভাবেই তাঁরা সন্ধান পেলেন অন্য এক ছায়াপথের গ্রহের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.