সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে ইউরোপের সোলার অরবিটার। আর সেই সময় পৃথিবীর উপরে ভাসমান মহাকাশ বর্জ্যের (Space debris) ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে সতর্ক বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর উপর দিয়ে ৪৬০ কিলোমিটার অঞ্চল পেরোবে ওই যান। আর তখনই রয়েছে সংঘর্ষের আশঙ্কা। যদিও কোনও ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ, তবুও তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পৃথিবীর উপর দিয়ে উড়ে সেটি মহাশূন্যের আরও গভীর পথে এগিয়ে যাবে। কিন্তু কেন পৃথিবীর উপর দিয়ে তার এই সংক্ষিপ্ত উড়ান নিয়ে আশঙ্কিত বিজ্ঞানীরা? ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর ৪৬০ কিলোমিটার এলাকার উপর দিয়ে যাবে ওই যানটি। মূলত যে দু’টি কক্ষপথ দিয়ে সেটি যাবে সেগুলি মহাকাশ বর্জ্যে ভরতি। মহাকাশের নতুন এই সমস্যাটি ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। এখান দিয়ে কোনও যান যাওয়ার সময় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থাকেই। তাই ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা সতর্ক রয়েছেন। প্রয়োজন পড়লে অর্থাৎ কোনও রকম সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হলেই যাতে তা এড়াতে প্রয়োজনীয় লাফ দিতে পারে অরবিটারটি, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”সোলার অরবিটারটি মহাকাশ বর্জ্যের অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাবে। সেই সময় কোনও রকম সংঘর্ষের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কিন্তু সম্ভাবনাটা মোটেই শূন্য নয়। বরং এর আগে ইএসএ-র অন্যান্য উড়ানের থেকে এবার ঝুঁকি অনেক বেশি।” সেই সঙ্গে মহাকাশের ওই সব বর্জ্য সরানোর ব্য়াপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে ঝুঁকি যতই কম থাক, বিজ্ঞানীরা সতর্ক থাকতেই চাইছেন।
উল্লেখ্য়, বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণের এক নতুন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মহাকাশ বর্জ্য। প্রশ্ন উঠছে, এর থেকে কি সরাসরি মানব সভ্যতার কোনও বিপদ হতে পারে? বিজ্ঞানীরা অবশ্য সেব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মহাকাশে নিক্ষিপ্ত ই-বর্জ্য যদি কোনও ভাবে বায়ুমণ্ডলে ঢুকেও পড়ে তাহলে তা পুড়ে যাবে। রাতারাতি সেটা আছড়ে পড়ে কোনও বিপদ ঘটাবে না। প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে পাক খেতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহগুলির সঙ্গে এই ধরনের বর্জ্যের কোনও টুকরোর সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে পৃথিবীর চারপাশে এই মুহূর্তে চক্কর কাটছে ১৬ কোটি মহাকাশ-বর্জ্যের টুকরো। সেগুলির গতি ঘণ্টায় ১৮ হাজার মাইল। তবে এগুলির অধিকাংশই খুব ছোট আকারের। তাদের থেকে বিপদের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এদের মধ্যে অন্তত ১০ লক্ষ টুকরোর দৈর্ঘ্য ১ সেন্টিমিটারের বেশি। ভয় সেগুলিকে নিয়েই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.