স্টাফ রিপোর্টার: মাঝে মাঝে লক্ষ্মণরেখা টপকে বাইরে চলে যাচ্ছে। ভয় দেখিয়েও আটকে রাখা যাচ্ছে না। সেই কারণেই বাবু এবং তার সহচরীদের রুখতে তাদের এনক্লোজারের সামনে সৌর বিদ্যুতের তারের বেড়া দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoological Garden)।
গত বছর আগস্ট মাসে হাতির এনক্লোজারের সামনে হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জন বেসরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। কয়েকমাস আগে চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচার মধ্যে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ফের চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা বাড়াতে পশুদের খাঁচার সামনে পাঁচিলের উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে। পাঁচিল টপকে যাতে কেউ খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কাঁটাতারের ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে। শিম্পাঞ্জিদের খাঁচায় কাঁটাতারের ফেন্সিংয়ের পাশাপাশি সৌর বিদু্যতের তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। দর্শকদের জন্য খাঁচার সামনে বড় কাচ লাগানো হয়েছে।
পশুদের এনক্লোজারের সামনে এভাবে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়া বিপজ্জনক। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, “শিম্পাঞ্জিরা পাঁচিল টপকে বেরিয়ে পড়ছে। এনক্লোজারের মধ্যে নালা রয়েছে। সেখানে নেমে পড়ছে। নালায় পড়ে তাদের হাত পা ভেঙে যেতে পারে। এখন চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে। তবে দর্শকদের সামনে এনক্লোজার থেকে বেরিয়ে পড়লে আরও বড় বিপদ হতে পারে। চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা এবং শিম্পাঞ্জিদের সুরক্ষার জন্য বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।”
আশিসবাবুর দাবি, এই বিদ্যুতের বেড়া থেকে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হওয়ার ভয় নেই। তারে স্পর্শ করলে খুব সামান্য স্পার্ক হবে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না।
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে হাতি জাগুয়ার, লেপার্ডের খাঁচার সামনেও বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে বলে অধিকর্তা জানিয়েছেন। পশুদের খাঁচার সামনে এভাবে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। পশুপ্রেমী সুতপা বসু বলেন, এটা একদম অমানবিক। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটা কীভাবে করতে পারল ! পেটা এরকম কোনও অনুমতি দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.