সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়নের (Global warming)অভিশাপে হিমবাহ গলন নতুন ঘটনা নয়। গত দশক থেকেই তা চলছে। গলনের প্রভাবে যে কতশত বিপর্যয় নেমে আসছে পৃথিবীতে, তা হিসেবের বাইরে। তবে এবার বিজ্ঞানীরা শোনালেন নতুন আশঙ্কার কথা। মেরুর বরফ গলতে গলতে নিচের স্তর থেকে বেরিয়ে আসবে বহু যুগ ধরে চাপা পড়ে থাকা অজানা সব জীবাণু (Virus)। এমনকী বেরিয়ে আসতে পারে তেজস্ক্রিয় বর্জ্যও। সেই শীতল যুদ্ধের সময়ে নিউক্লিয়াস রিঅ্যাক্টর, সাবমেরিন থেকে যেসব পদার্থ নিঃসৃত হয়েছে, সেসবও প্রকাশ্যে আসতে পারে।
উত্তর মেরু (North Pole) এলাকার একটা অংশে প্রায় লক্ষ বছর ধরে বরফ জমেছে। স্থায়ীভাবে হিমায়িত (permafrost) হয়েছে এই অংশ। কিন্তু উষ্ণায়নে কোপে এবার সেই অংশও গলতে শুরু করেছে। আর তার মাঝ থেকেই উঠে আসছে প্রচুর অণুজীবী (Microbes)। বিশ্বের শীতলতম অঞ্চল সাইবেরিয়ার হিমায়িত অংশ মূলত জীবাণুরোধী। এবার সেই অংশ গলার অর্থ রেসিস্ট্যান্স অংশটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হওয়া। উষ্ণায়নের হার দেখে পরিবেশবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২১০০ সালের মধ্যে মেরু অঞ্চলের এই স্থায়ী হিমায়িত অংশের দুই তৃতীয়াংশ গলে যাবে। এবার এই গলনের কী কী কুপ্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।
তাতেই দেখা যাচ্ছে, শীতল যুদ্ধের (Cold war) সময় যেসব পরমাণু চুল্লি, সাবমেরিনের অংশ এতদিন ধামাচাপা পড়েছিল, সেসবও বেরিয়ে আসবে স্থায়ী হিমায়িত অংশ গলে গেলে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয় বিকিরণের অভিশাপও নেমে আসবে। ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ নামের এক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেরু অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপর কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা করা যাচ্ছে না এখনই। এর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় অংশেই প্রভাব পড়বে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে স্থায়ী হিমায়িত অংশের উপর নানা গবেষণা করেও এর প্রভাব সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছে না। এটি যথেষ্ট জটিল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.