সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীল রঙের যে গ্রহে আমরা থাকি তার গঠন কিন্তু বেশ জটিল। অন্তত আমরা সাধারণ ধারণায় যেমন মনে করি তার চেয়ে অনেক বেশি। পৃথিবীর অভ্য়ন্তরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক্রাস্ট, ম্যান্টল ও কোর। পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ এই অংশেই সম্প্রতি দেখা গিয়েছে এক পরিবর্তন। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, পৃথিবীর (Earth) অভ্যন্তরে কোর অংশটির ঘূর্ণন কমে গিয়েছে। ক্রমে তা থেমেও যায়। এবং তা এখন পৃথিবীর উপরিভাগ যে অভিমুখে ঘুরছে, তার ঠিক বিপরীত অভিমুখে ঘুরছে।
১৯৩৬ সালে ড্যানিশ সিসমোলজিস্ট ইঙ্গ লেম্যান আবিষ্কার করেছিলেন পৃথিবীর অভ্যন্তরে রয়েছে একটি কঠিন ধাতব বল। যা স্বাধীন ভাবে ঘুরে চলেছে। একে ঘিরে রহস্য কম নেই। যাকে ঘিরে তর্ক-বিতর্কও কম নেই। বলে রাখা ভালো, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ অংশ। এমনকী সূর্যের উপরিভাগের সঙ্গে তা তুলনীয়। এখানে রয়েছে নিকেল ও লোহা। এবার পৃথিবীর সেই কেন্দ্রেই দেখা গেল ব্যাপক পরিবর্তন।
কিন্তু এর ফলে কী হতে পারে? পৃথিবীর কেন্দ্র হঠাৎই উলটো দিকে ঘোরা শুরু করার কোনও খারাপ প্রভাব কী পড়বে পৃথিবীর বাসিন্দাদের উপরে? এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, ভয়ের কিছু নেই। এমনকী, পৃথিবীর উপরিভাগে এই কেন্দ্রের ঘূর্ণনের কোনও প্রভাবই পড়বে না। তবুও পুরো বিষয়টির দিকেই নজর রাখা হবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে আপাত ভাবে এতে আশঙ্কার কিছু নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন আচমকাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পর বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে। মনে করা হচ্ছে, পৃথিবীর কেন্দ্রের এমন আচরণ নতুন নয়। ৩৫ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে এই ঘূর্ণনের অভিমুখ বদলায়। গত শতকের সাতের দশকের প্রথম দিকে এই ঘূর্ণন নজরে পড়ে বিজ্ঞানীদের। আপাতত বিপরীত ঘূর্ণনের বিষয়টি গবেষকদের নজরে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.