ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রায় ৪ দশক পর ফের বিজ্ঞানক্ষেত্রে বাঙালির মুকুটে শ্রেষ্ঠত্বের পালক। বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২২ সালের শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ডা. দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। কোভিড আবহে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারে অতিমারীকে হেলায় হারিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই যুদ্ধজয়ের নেপথ্য কারিগর ছিলেন বাঙালি গবেষক চিকিৎসক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আইসিএমআর।
৩৯ বছর পর কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানমন্ত্রকের বিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ডা. দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। জীবনের শুরুতে পড়াশোনা করেছিলেন খড়দহের রামকৃষ্ণ মিশনে। তারপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন। পিএইচডিও করেছেন দীপ্যমানবাবু। তারপর থেকে চিকিৎসার স্বার্থের গবেষণায় মগ্ন হয়েছেন। আর সেই গবেষণাই অতিমারীকালে নয়া দিশা দেখিয়েছে গোটা বিশ্বকে।
ইমিউনোগ্লোবিন থিওরি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছিলেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। কোভিডমুক্ত করতে এই থিওরি মারাত্মকভাবে কার্যকর। করোনার বিরুদ্ধে যে প্লাজমা থিওরি কার্যকর হয়েছিল তার ভিত্তিই হল এই ইমিউনোগ্লোবিন থিওরি। এর মাধ্যমে করোনামুক্ত হওয়া সম্ভব। বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন গবেষক চিকিৎসক দীপ্যমান। সেই থিওরি মেনে কাজ করেছিলেন বঙ্গের চিকিৎসককূল। দলে ছিলেন চিকিৎসক প্রদীর ভট্টাচার্য, চিকিৎসক যোগীরাজ রায়, চিকিৎসক আশিস মান্নারা। থিওরিকে মান্যতা দেয় আইসিএমআর, এমনকী বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাযুদ্ধে প্লাজমা থিওরি ব্যবহার হতে শুরু করে। এবার সেই গবেষণার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রক। ৩৯ বছর পর বাঙালি চিকিৎসক গবেষককে সম্মানিত করল দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরস্কারে।
ইতিপূর্বে প্রায় চার দশক আগে এই সম্মান পেয়েছিলেন আরেক বাঙালি গবেষক চিকিৎসক ডিকে গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালি চিকিৎসক গবেষকের এই প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ চিকিৎসক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.