অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: অবশেষে অপেক্ষা শেষ হল। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হলে কয়েক বছর পর ফের ডিসেম্বরেই সাইবেরিয়ান বাঘ আসতে চলেছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা নামে পরিচিত পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে। সাইপ্রাসের পাফোস চিড়িয়াখানায় এক জোড়া রেড পান্ডা পাঠিয়ে সেখান থেকে এক জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ আনা হবে বলেই খবর। এ প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বাসবরাজ হোলাইচি বলেন, “আমরা বিনিময়ের জন্য একটি উপযুক্ত তারিখ খুঁজে বের করছি। সাইবেরিয়ান বাঘের জোড়া সাইপ্রাস চিড়িয়াখানা থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরাও তাদের কাছে একজোড়া রেড পান্ডা পাঠাব”।
সাইপ্রাস থেকে আসা পুরুষ ও স্ত্রী বাঘের বয়স দেড় বছর। তারা সাইপ্রাস থেকে বিমানে কলকাতায় পৌঁছবে। কলকাতা থেকে পশু চিকিৎসক-সহ দার্জিলিং চিড়িয়াখানার একটি দলের সঙ্গে সড়কপথে তাদের দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রাণীগুলোকে সাইপ্রাসে এক মাসের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এদিকে দার্জিলিং-এ পৌঁছানোর পরেও তাদের এক মাসের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এই চিড়িয়াখানায় এর আগে সাইবেরিয়ান বাঘ ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। তার পর থেকেই এই চিড়িয়াখানায় সাইবেরিয়ান বাঘের দেখা মেলে না। অথচ একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল এই বাঘ। তাই ভারত ও সাইপ্রাস দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করেই বিনিময় প্রথার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের রেড পান্ডা পাঠিয়ে বাঘ আনা হবে।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে একটি ছয় বছর বয়সী পুরুষ রেড পান্ডা এবং একটি দুই বছর বয়সী মহিলা পান্ডাকে সাইপ্রাস চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে। গোটা দেশে একমাত্র দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডাদের প্রজনন করা হয়। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সমস্ত বিভাগে দেশের সেরা চিড়িয়াখানা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। এখানে রেড পান্ডা ছাড়া সফলভাবে স্নো লেপার্ড, ব্লু শিপ, হিমালয়ান তাহর, হিমালয়ান উলফেরও প্রজনন করানো হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৯টি পুরুষ এবং ১৫টি মহিলা লাল পান্ডা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.