সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়জোর দেড় বছর। তার আগে নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus) বা সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2)-এর সঙ্গে সেভাবে পরিচিত ছিল না বিশ্ব। দ্বিতীয় ভাইরাসের প্রভাবে বেশ কিছু রোগভোগ হলেও তা যে অতিমারী হয়ে উঠতে পারে, সেই ধারণা ছিল না কারও। আজ তার অভিশাপ টের পাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হচ্ছে, ২০ হাজার বছর আগেই পূর্ব এশিয়ায় (East Asia) হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। আর তা মানুষের জিন পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। তাহলে আজকের মানুষজনের শরীরেও কেন থাবা বসাচ্ছে করোনা? এই প্রশ্নও উঠছে স্বাভাবিকভাবে। তবে ২০ হাজার বছর আগে করোনার অস্তিত্বের দাবি ঘিরে আপাতত হইহই।
সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ‘কারেন্ট বায়োলজি’তে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার একদল গবেষকের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়ায় হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। তার জোরে মানুষের জিনগত কাঠামো (Genome sequence) বদলে গিয়েছে অনেকটাই। অন্তত ২৬ ভিন্ন গোষ্ঠীর ২৫০০ মানুষের জিনের উপর গবেষণা চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণালব্ধ ফলাফলই বলছে, পূর্বপুরুষদের জিনগত বদলের প্রভাব আজকের এশিয়ার মানুষজনের DNA’তেও রয়ে গিয়েছে।
গবেষকদলের অন্যতম সদস্য ইয়াসিন সৌলমি বলছেন, ”ভাইরাস নিজেদের বংশবিস্তারের মাধ্যমে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই জীবাণুর সংক্রমণের জন্য কোনও একটা মাধ্যম প্রয়োজন। মানবদেহের কোষকে ব্যবহার করে তারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কোষবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে কাজে লাগায় তারা। জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ভাইরাসের বিবর্তনও আমরা খেয়াল করেছি।” করোনা ভাইরাস সম্পর্কে নবতম আবিষ্কারের কৃতিত্ব অবশ্য তাঁরা দিয়েছেন প্রযুক্তিকেই। উচ্চপ্রযুক্তির সাহায্যে হাজার হাজার বছর আগেকার জিনের গঠন নিয়ে এতটা সফ গবেষণা সম্ভব হয়েছে। বলা হচ্ছে, জাপান, চিন, ভিয়েতনাম এলাকার মানুষজনের উপর জিন গবেষণা চালানো হয়। তাতেই বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.