সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আগে এখানে সন্ধ্যাতেই রাত নামত। এখন তা শ্যামলিমায় ঘেরা, পর্যটকের ভরপুর। সেই বদলে যাওয়া পরিবেশে শনিবার নতুন রূপে দেখা গিয়েছে রাতজাগা অযোধ্যা পাহাড়কে। নাইট ম্যারাধনের হাত ধরে শুধু অযোধ্যা পাহাড় নয়। ইতিহাস তৈরি হয়েছে বাংলার বুকে। তার পরেরদিন রবিবার ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ অযোধ্যা পাহাড়ে সাতসকাল থেকে পুলিশকর্মীরা ওই ম্যারাথনের স্থানজুড়ে সাফাই কাজ করলেন। যাতে একটি কাগজের কাপ, একটি পলিথিন, একটি প্লাস্টিকও পড়ে না থাকে।
অযোধ্যা হিলটপ থেকে জঙ্গলপথ ধরে একেবারে আপার ড্যাম। যেখানে ম্যারাথনের মিডল পয়েন্ট ছিল সেই এলাকাতেও সাফসুতরো করলেন পুলিশকর্মীরা। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ অযোধ্যার লক্ষ্যে এই সাফাই কাজ চলে।শনিবারের নাইট ম্যারাথন তো শুধু ‘রান ফর অ্যাডভেঞ্চার’ ছিল না। ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’-এর লক্ষ্যেও ছিল দৌড়। আর সেই দৌড়ে ম্যারাথন শেষে অযোধ্যা পাহাড় প্লাস্টিক, পলিথিনে ভর্তি থাকবে, তা তো আর হতে পারে না। তাই রবিবার একেবারে বিকাল পর্যন্ত এই ক্লিন অযোধ্যার অপারেশন চালায় পুলিশ।
এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবিবার সকাল থেকেই আমাদের এই সাফাই অভিযান শুরু হয়। নাইট ম্যারাথন শেষে অযোধ্যা যাতে একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিই।” এই নাইট ম্যারাথন মেগা ইভেন্টকে ঘিরে ঘন জঙ্গলে থাকা বন্যপ্রাণের যাতে কোনওরকম বিঘ্ন না ঘটে, তাই ম্যারাথনের জঙ্গল দৌড় পথে বিশেষ কোনও আলো ছিল না। ক্যাম্প ফায়ার করে পথ দেখানো হয়। এছাড়া ওই জঙ্গল পথে ব্যবহার করা হয়নি কোনও সাউন্ড সিস্টেমও। ফলে পরিবেশবান্ধব হয়েই পূর্ণতা পেল নাইট ম্যারাথনের মেগা ইভেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.