সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই ইতিহাস গড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশযান ‘আমাল’। ঢুকে পড়েছে মঙ্গলের (Mars) কক্ষপথে। এবার পালা চিনের (China)। চিনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1 ) ‘আমালে’র পর বুধবার লালগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করল। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেজিং। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের প্রথম ধাপ এদিন পেরিয়ে গেল তারা। আগামী মে মাস পর্যন্ত সেটি চক্কর কাটবে কক্ষপথে। তারপরে এর রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে। যদি প্রথম প্রয়াসেই এই তিন লক্ষ্য পূরণ করতে পারে চিন, তাহলে তৈরি হবে নয়া ইতিহাস।
মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চিনের। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, তাদের এই মিশনই এপর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সেরা হতে চলেছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি তাঁর। তার ফলে লালগ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।
ইতিমধ্যেই তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গলের প্রথম ছবি তুলে পাঠিয়েছে। সাদাকালো সেই ছবিতে স্পষ্ট মঙ্গলের গহ্বর ও উপত্যকার চিহ্ন। এর আগে ২০১১ সালে মঙ্গলে যান পাঠানোর চেষ্টা করেছিল চিন। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ অভিযানটি সফল হয়নি। এরপরই স্বাবলম্বী হয়ে নিজেরাই নয়া অভিযানের পরিকল্পনা করতে থাকে তারা। ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র সময়ে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে মহাকাশ অভিযান নিয়ে রেষারেষির কথা সকলেরই জানা। এখন সেই লড়াইয়ে মার্কিনিদের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে বেজিং। ২০২২ সালের মধ্যেই মহাকাশে স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চায় চিন। এরপরই চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
এদিকে মঙ্গল অভিযানে পিছিয়ে নেই আমেরিকাও। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে মার্কিন মহাকাশযান ‘পারসিভিয়ারেন্স’। আসলে লালগ্রহ ও পৃথিবী খুব কাছাকাছি আসার বিষয়টির দিকে খেয়াল রেখেই গত জুলাই মাসে মঙ্গল মিশন শুরু করে এই তিন দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.