সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ (Moon) দখল করতে পারে চিন (China)! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA। যদিও এমন সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে বেজিং। তাদের মতে এহেন মন্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। আমেরিকা নাকি দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের দাবি করে আসছে। যার কোনও ভিত্তিই নেই।
মহাকাশ রেস একসময় ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যেই। কিন্তু গত শতকের শেষ দশকে সোভিয়েতের ভাঙনের পর কার্যত নাসাই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে মহাকাশে। পরে রাশিয়া ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ায়। এবার সেই লড়াইয়ে নতুন প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে চিনের নাম। মঙ্গলের মাটিতে নেমে পড়েছে চিনের তিয়ানওয়েন-১। তার আগে ২০১৩ সালেই চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল তাদের মহাকাশযান। এবার মানুষবাহী যান চাঁদে পাঠাতে বদ্ধপরিকর চিন। এর মধ্যেই আমেরিকার অভিযোগ, চিনের পরিকল্পনা রয়েছে অন্য।
নাসা প্রশাসক বিল নেলসন সম্প্রতি এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছেন, ”আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এমনও হতে পারে চিন চাঁদের মাটিতে পা রেখে বলে দিল, এটা আমাদের. তোমরা তফাত যাও।” পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, চিনের মহাকাশ অভিযান রীতিমতো সামরিক পরিকল্পনায় হয়। পাশাপাশি অন্যদের থেকে আইডিয়া ও প্রযুক্তি চুরির অভিযোগও করেন বিল।
তাঁর এহেন অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে চিন। বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের দাবি, এর আগেও এমন অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য বলেও জানাচ্ছে চিন। লিজিয়ানের কথায়, ”মার্কিনিরা এর আগেও এমন ধরনের কথা বলেছে চিনের স্বাভাবিক মহাকাশ অভিযান সম্পর্কে। এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছেন চিন।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, চিন বরাবরই বহির্বিশ্বে মানুষের অভিযানের সাফল্যের কথা বলে এসেছে। একই সঙ্গে মহাকাশে অস্ত্রশস্ত্রের প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করেছে। সব মিলিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে মহাকাশ-রাজনীতি চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে নাসা ফের নতুন করে এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও বক্তব্য রাখে কিনা সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.