Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

মাউন্ট এভারেস্টের উপর দিয়ে ওড়ানো হল এয়ারশিপ! নতুন রেকর্ড চিনের

চিনের 'জিমু নং ১' এয়ারশিপ উড়ল ৯০৩২ মিটার উঁচুতে।

China flies airship to observe atmosphere at record altitude, higher than Mount Everest under its 'Earth Summit Mission 2022' | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 16, 2022 4:19 pm
  • Updated:May 16, 2022 4:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের কী বৈশিষ্ট্য, আবহাওয়াই বা কেমন – এসব জানতে সাধারণত হাওয়া অফিস বেলুন ওড়ায়। তবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ চিন (China) প্রযুক্তিতে অনেকটা এগিয়ে বেলুনের জায়গায় উড়িয়ে দিল গোটা একটা উড়োজাহাজ কিংবা এয়ারশিপ (Airship)! তাও আবার সর্বোচ্চ উচ্চতায়। জানা গিয়েছে, মাউন্ট এভারেস্টেরও চূড়া পেরিয়েও আরও উঁচু দিয়ে উড়ল চিনের এয়ারশিপ। চিনের কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ মিশনের অধীনে এই এয়ারশিপটি ওড়ানো হয়। মূলত বায়ুমণ্ডলের নানা স্তরের রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে জানার লক্ষ্যেই এই মিশন।

মাউন্ট এভারেস্টের (Mt. Everest) উচ্চতা এই মুহূর্তে ৮৮৪৯ মিটার। আর চিনের ওড়ানো ‘জিমু নং ১’ এয়ারশিপ উড়ল ৯০৩২ মিটার উঁচু দিয়ে। সেকেন্ডে তার গতি ৩০ মিটার। এর নিচে যুক্ত করা যানটির ওজন প্রায় ৯০ টন। তাকে সঙ্গে নিয়ে ৯০৩২ মিটার উঁচু দিয়ে দিব্যি উড়ে বেড়াল ‘জিমু নং ১’। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইনস্টিটউট অফ টিবেটান প্ল্যাটো রিসার্চ, এরোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটউট, চ্যাংচুং ইনস্টিটিউট অফ অপটিক্স – এই চার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রয়াসে ‘আর্থ সামিট মিশন ২০২২’র কাজ হচ্ছে। তাতেই ওড়ানো হল এয়ারশিপ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ! আইনজীবীর দাবির পরই নির্দিষ্ট এলাকা সিল করার নির্দেশ আদালতের]

চিনের বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের খবর অনুযায়ী, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে মূলত ঘুরে বেড়িয়েছে ‘জিমু নং ১’। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ঠিক কতটা উঁচু দিয়ে উড়েছে এয়ারশিপটি। জানা গিয়েছে, এই স্তরের কার্বন, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের (Carbon-Di-Oxide) মতো বায়ুকণাগুলি সম্পর্কে তথ্য নেওয়া। বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য, ভূপৃষ্ঠ ৯ হাজার মিটার উচ্চতার এই স্তরে বাষ্পীভবনের পদ্ধতি খতিয়ে দেখা। তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এই যে তিব্বত মালভূমির দিকেই এয়ারশিপটি উড়ান লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই মিশনের অন্যতম কর্তা পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ঝু টং বলেন, ”সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি কীভাবে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে মাটিতে এসে পৌঁছয় এবং কীভাবে তা মানবশরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সে বিষয়ে গবেষণা করাই আমাদের লক্ষ্য।”

[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী সময়ে কলকাতায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে CBI তলব]

আজ নয়, ২০১৭ সালে বিশ্বের অন্যতম উচ্চতা, ৫২০০ মিটার উঁচুতে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ শুরু করে চিন। তিব্বত (Tibet) ভূমির পশ্চিমাংশে বায়ুমণ্ডলের স্তরের বদল কেমন ঘটে, তা দেখার জন্য এই কেন্দ্র তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই ওড়ানো হল ‘জিমু নং ১’কে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement