Advertisement
Advertisement

Breaking News

Chandrayaan-3

৩৫৮ কোটি বছরের পুরনো খাদে নিশ্চিন্তের ঘুম চন্দ্রযান ৩-এর, প্রজ্ঞানের ছবিতে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

প্রজ্ঞানের দৌলতে প্রকাশ্যে এল চাঁদের বিবর্তনের অজানা ইতিহাস।

Chandrayaan-3 lands in one of the oldest craters on the Moon
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 29, 2024 7:34 pm
  • Updated:September 29, 2024 8:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে চাঁদকে নিয়ে পৃথিবীর বুকে রচিত হয়েছে হাজার হাজার ঘুম পাড়ানি গান, সেই ‘চরকা কাটা বুড়ি’র কোলেই নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩। ইসরোর স্বপ্ন ছোঁয়ার কারিগর সেই ‘চন্দ্রযান’ কল্পনা দড়ি ছিঁড়ে বাস্তবের মাটিতে আরও বিস্ময়কর। গভীর ঘুমে ডুবে থাকা চন্দ্রযান-৩’র একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে যা বিশ্লেষণ করে চমকিত দেশের বিজ্ঞান মহল। রোভার প্রজ্ঞান ও উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের যে অংশে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করেছিল, তা চাঁদের প্রাচীনতম গর্তগুলির অন্যতম। যার বয়স ৩৫৮ কোটি বছর।

১৪ জুলাই, ২০২৩। এই তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে বিকাল ৩টে বেজে ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে ভারত। ২২ দিন পর, ৫ আগস্ট, চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছায় চন্দ্রযান- ৩। উৎক্ষেপণের ৪১ তম দিনে ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পালকের মতো অবতরণ করে চন্দ্রযান- ৩। এর মাধ্যমে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসাবে তার কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেয়। তবে সাফল্য শুধু এতটুকু নয়। আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং ইসরোর গবেষকরা বলেছেন, যে চন্দ্রযান-৩ যে ‘গর্ত’টিতে অবতরণ করেছিল তা নেক্টেরিয়ান সময়কালে তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ ৪০০ কোটি বছর আগে সে যুগের অস্তিত্ব ছিল। উল্লেখ্য, মহাকাশে কোনও গ্রহ বা উপগ্রহে গ্রহাণু ধাক্কা মারলে যে গর্ত তৈরি হয় সেগুলিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ক্রেটার বলে। চাঁদের তেমনই অর্ধবৃত্তাকার এক ক্রেটারে নেমেছিল চন্দ্রযান-৩।

Advertisement

ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের সহকারী অধ্যাপক এস বিজয়ন বলেন, ‘চন্দ্রযান-৩ যেখানে নেমেছে, তার অনন্য ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আগে কখনও সেখানে কোনও অভিযান হয়নি। প্রজ্ঞান রোভারের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলিই বলে দিচ্ছে, গর্তটির প্রাচীনতা কতটা। ওই ছবি থেকে চাঁদের বিবর্তন সম্পর্কেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, চাঁদে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর পেট থেকে বেরিয়ে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদের মাটিতে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। পরে চাঁদের মাটিতে সূর্য ডুবে যাওয়ায় তার শক্তিও ফুরিয়েছে। এখনও চাঁদে নিশ্চিন্ত নিদ্রায় ল্যান্ডার ও রোভার। তবে ‘চাঁদ মামা’র কোলে ঘুমিয়ে পড়ার আগে রোভারের ক্যামেরায় পৃথিবীবাসী দেখেছে চাঁদের অদেখা নানা ছবি। রোভারের দৌলতে বিস্ময়ের সেই দক্ষিণ মেরুর ছবি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement