সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের (The Moon)মাটিকে কী আছে আর কী নেই – সেই উত্তর যথাযথভাবে পেতেই যুগের পর যুগ ধরে গবেষণা চলছে। মৌল পদার্থ আদৌ আছে কি না, থাকলে সেসব কোন জাতের পদার্থ, সেটাই গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। আর সম্প্রতি সেই গবেষণা কাজে নয়া মাত্রা যোগ করল চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2)। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের রাসায়নিক গঠন নিয়ে অন্যভাবে ভাবতে হচ্ছে। চন্দ্রযান-২’র স্পেকট্রোমিটারে ধরা পড়েছে, চাঁদের মাটিতে সোডিয়ামের (Sodium) প্রাচুর্য রয়েছে। অর্থাৎ নুনের ভাগ বেশি। তবে সোডিয়াম কি চাঁদের নিজস্ব খনিজ নাকি তা সৌরঝড়ের দাপটে চাঁদের মাটিতে এসে পড়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান-২ অভিযান খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের চূড়ান্ত মুহূর্তের আগে তা গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Vikram) ভেঙে পড়ে। তবে ল্যান্ডার ভেঙে পড়লেও অরবিটার এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ অক্ষত। বিশেষত হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা দারুণ কাজ করছে বলে জানতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সে-ই চন্দ্রপৃষ্ঠের খুঁটিনাটি ছবি পাঠাচ্ছে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে।
এবার তার স্পেকট্রোমিটার জানাল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (South Pole) দিকে আলো ফেলে সোডিয়ামের প্রাচুর্য টের পাওয়া গিয়েছে। ইসরো জানাচ্ছে, এই আবিষ্কার চাঁদে সোডিয়াম বা অন্যান্য খনিজের উপস্থিতি রাসায়নিক গঠন বুঝতে অন্য মাত্রা নিতে পারে। সম্প্রতি এই তথ্য ও গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত পত্রিকা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস’-এ। চন্দ্রযান-২’র লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারে ধরা পড়েছে, সোডিয়াম লাইন রয়েছে। সেখানে পরমাণু (Atom) আকারে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চাঁদে এ ধরনের ক্ষারজাতীয় (Alkali) পদার্থের উপস্থিতি বিরল। কারণ, যে অঞ্চলে তা পাওয়া গিয়েছে, সেই জায়গা অত্যন্ত পাতলা স্তরের। ইসরোর করফে বলা হচ্ছে, এই নতুন আবিষ্কার চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের প্রতিক্রিয়া কেমন, তা নিয়ে গবেষণার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হল। এছাড়া সৌরজগতের অন্যান্য দিকেও নতুন করে আলোকপাত করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.