ফাইল ছবি।
রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: বক্সা বাঘ বনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ত্রিমুখী পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের। উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এই বাঘবনে ডোরাকাটাদের ফেরাতে মরিয়া বনাধিকার, বনকর্মীরা। তার জন্য একযোগে তিনটি উপায় বের করা হয়েছে। প্রথমত, সেখানে বাঘেদের পর্যাপ্ত খাবার তৈরি করা ও বনের ভিতর তাদের থাকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, বাইরে থেকে বাঘ এই বনাঞ্চলে এলে তাকে পাকাপাকিভাবে এখানে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তৃতীয়ত, বাইরে থেকে বাঘ এনে এই বনাঞ্চলে ছাড়া। এই তিন পদ্ধতিতে বক্সা বাঘ বনের পুরনো পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বক্সা বাঘ বনে একসময় ২৬টি বাঘ থাকার রেকর্ড রয়েছে। আশির দশকের আগে এই বনাঞ্চলে বাঘের (Tiger) গর্জন শোনার রেকর্ডও রয়েছে। বর্তমানে এই বনাঞ্চল ব্যাঘ্রশূন্য হয়ে রয়েছে। তাই বক্সায় বাঘের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাইছে জঙ্গল কর্তৃপক্ষ। বক্সা (Buxa)বাঘ বনের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “বক্সা বাঘ বনে থাকুক বাঘেরাই, সেটা আমরা আন্তরিকভাবে চাইছি। যে কোনওভাবে এই লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছি আমরা। এখানে বাঘ থাকার উন্নত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সংলগ্ন অসম ও ভুটান থেকে এখানে বাঘ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটা না হলে বাইরের রাজ্য থেকে বাঘ ধরে এনে এখানে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’’
অসম (Assam) ও ভুটানের বনাঞ্চলে বাঘ রয়েছে। সেই বনাঞ্চলের সঙ্গে বক্সা বাঘ বনের সংযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে এই দুই বনাঞ্চল থেকে বাঘ এই বনাঞ্চলে আসার নজিরও রয়েছে। বক্সা বাঘ বন কর্তৃপক্ষ চাইছে, এখানে এমন পরিবেশ হোক যাতে ভুটান (Bhutan)ও অসম থেকে আসা বাঘ স্থায়ীভাবে থেকে যাক। সেই কারণে এখানে বনের ভিতর মানুষের উপস্থিতি কমাতে চাইছে বক্সা বাঘ বন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বক্সা বাঘ বনের দুই বনবসতিকে বনাঞ্চল (Forest) থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই কারণে স্থায়ী বাসিন্দারা এমনিতেই এখান থেকে সরে গিয়েছেন। এছাড়া এই এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে বাঘ বন কর্তৃপক্ষের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.