Advertisement
Advertisement
Black hole

গিলে নিতে পারে ৩৩০০০০০০০০০ সূর্যকে! ‘দানব’ ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়ে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

সুদূর মহাকাশে থাকলেও পৃথিবীর দিকেই অভিমুখ কৃষ্ণগহ্বরটির।

Black hole 33 billion times the size of Sun discovered। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 30, 2023 3:36 pm
  • Updated:March 30, 2023 3:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল (Black Hole)। মহাকাশের (Space) অনন্ত বিস্ময়। ব্ল্যাক হোল তথা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে নিত্যনতুন আবিষ্কার করেই চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মহাজাগতিক বস্তুদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এমন এক অতিকায় ব্ল্যাক হোল, যেটির ধারেকাছে আসে না আমাদের সূর্যও। কত ভারী সেই ব্ল্যাক হোল? বিজ্ঞানীদের দাবি, সূর্যের চেয়ে ৩৩০০০০০০০০০ গুণ বেশি ভর রয়েছে ওই ব্ল্যাক হোলে! অর্থাৎ প্রায় তিন হাজার কোটি সূর্য এঁটে যাবে ওই ব্ল্যাক হোলের অন্দরে।

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল ওই কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পেয়েছে। তাদের দাবি, এটাই সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ ব্ল্যাক হোল। রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। আমাদের সৌরজগতের চেয়ে বহু দূরে অবস্থিত PBC J2333.9-2343 নামের এক ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে ওই ব্ল্যাক হোল। আর সেই ব্ল্যাক হোল এবার আসছে পৃথিবীর দিকেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহাকাশে একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহের পাড়ি, সফল উৎক্ষেপণে নজির গড়ল ISRO]

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ব্ল্যাক হোল কিন্তু ব্যতিক্রম নয়। যে কোনও অতিকায় ছায়াপথের কেন্দ্রেই এই ধরনের বিরাট ব্ল্যাক হোল থাকাটাই স্বাভাবিক। অন্যতম গবেষক ড. জেমস নাইটিঙ্গেল জানিয়েছেন, নিঃসন্দেহে এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন না এই ধরনের ব্ল্যাক হোলের সন্ধান বুঝিয়ে দেয়, ব্যাপারটা কেবল তাত্ত্বিক ভাবেই নয়, সত্য়িই অবস্থিত। এই ধরনের ব্ল্যাক হোলগুলি ব্রহ্মাণ্ডের অল্প বয়সেই সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরও নিখুঁত ভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছিল, যখন কোনও বিপুল‌ ভরের ব্ল্যাক হোল নিজের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মাণ নিউক্লিয়াস গঠন করে তখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তার কেন্দ্র থেকে সরে যায় মেরুর দিকে। শেষ পর্যন্ত সেখানে বিপুল গ্যাসীয় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঢেউ ব্ল্যাক হোলের সীমান্তের অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি তাপমাত্রার (যা সূর্যের থেকেও ১০ গুণ উত্তপ্ত হতে পারে) সংস্পর্শে এলে তা বিপুল ভাবে ছিটকে উঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে ১০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত। সেই প্রবল অভিঘাতকে কল্পনা করাও কঠিন।

[আরও পড়ুন: পাক সীমান্তে আইইডি বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য, কাশ্মীরের বিশাল এলাকা জুড়ে তল্লাশি পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement