Advertisement
Advertisement

Breaking News

বায়ো ফেনসিং

হাতির হামলা রুখতে বায়ো ফেনসিং, করিডর ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ বন দপ্তরের

হাতি ও মানুষের সহাবস্থানের লক্ষ্যেই উদ্যোগ, জানাচ্ছেন বনকর্তারা।

Bio fencing and corridor mapping will be done to block elephants' attack
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 20, 2019 5:57 pm
  • Updated:December 20, 2019 5:57 pm  

শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: লোকালয়ে বন্য হাতির হানায় উদ্বিগ্ন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। হামলা রুখতে এবার বায়ো ফেনসিং ও করিডর ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার লোকালয়ে হাতির হানা রুখতে বনদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের আধিকারিকরা। বৈঠকে ছিলেন মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, সহ সভাধিপতি তাপসী রায়, বনদপ্তরের আধিকারিক (সোশ্যাল ফরেস্ট্রি) অ্যাঞ্জেলা ভুটিয়া, অতিরিক্ত ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (উদ্যান-পালন বিভাগ) বিএন দাস, বন কর্মাধ্যক্ষ ললিতা সাহুরিয়া সকলে। তবে কার্শিয়াং ডিভিশনের বন আধিকারিকদের ডাকা হলেও তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে লোকালয়ে হাতির হানা রুখতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মহকুমা পরিষদ ও বনদপ্তরের তরফে। এদিনের বৈঠকের পর সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, “বনদপ্তরের ও মহকুমা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে হাতির করিডরের ম্যাপিং করা হবে। সেই ম্যাপ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে মহকুমা পরিষদের আধিকারিকদের কাছে থাকবে। এতে করিডর নিয়ে গ্রামবাসী ও বনবসতিবাসীর মধ্যে সচেতন করা যাবে।” তিনি জানান, এছাড়াও যাতে হাতির করিডরে কোনও নির্মাণ বা বাধা তৈরি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০২০তেও পুড়বে বিশ্ব, উষ্ণায়নের দাপট অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস পরিবেশবিজ্ঞানীদের]

বন দপ্তরের আধিকারিক (সোশ্যাল ফরেস্ট্রি)অ্যাঞ্জেলা ভুটিয়া বলেন, “বনবসতি বা গ্রামের আশেপাশে যদি বায়ো ফেনসিং করা যায় তাতে লোকালয়ে হাতি ঢুকতে বাধা পাবে। এতে হাতির হানা অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে।” বনদপ্তর ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা এলাকায় এ বছর হাতির হানায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ট্রেনের ধাক্কায় দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দু’শো হেক্টর জমির শস্য নষ্ট করেছে হাতির দল এবং গ্রামবাসীদের ২২টি ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে।

এসব ক্ষতি রুখতে বায়ো ফেনসিং ও ম্যাপিং অনেকটাই কাজে লাগবে। বায়ো ফেনসিংয়ের মাধ্যমে লোকালয়ের আশেপাশে ক্যাকটাস বা কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগানো হবে। জানা গিয়েছে, হাতির করিডর উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সাইনেজ বা চিহ্নিতকরণ করা হবে। সোলার লাইট, সার্চ লাইটের ব্যবহারে জোর দিতে বলা হয়েছে। খাবারের খোঁজে যাতে হাতি লোকালয়ে না প্রবেশ করে সেজন্য জঙ্গলে ফলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। গ্রামে দেশি মদ তৈরির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের সচেতন ও শস্যের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের হয়রানি কমানো ও ক্ষতিপূরণ প্রতি হেক্টর সাত হাজার টাকা থেকে বাড়ানোর জন্য আধিকারিকদের পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বায়ু থেকে সরাসরি পানীয় জল, সংকট মেটানোর লক্ষ্যে আরবের প্রযুক্তি ব্যবহার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement