সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই সাতের দশকের পর একেবারে গোড়ায় শেষবার চাঁদে (Moon) গিয়েছিল মানুষ। গত পাঁচ দশক অসংখ্য চন্দ্রাভিযান হলেও চাঁদের মাটিতে পড়েনি মানুষের পদচিহ্ন। এই মুহূর্তে নতুন করে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চাইছে আমেরিকা। করোনার দাপটে সামান্য পিছিয়ে গিয়েছে পরিকল্পনা। সম্ভাবনায় উঠে এসেছে চিনের নামও। কিন্তু সকলকে টপকে হয়তো ২০২৩ সালেই চাঁদে পৌঁছে যেতে পারেন জাপানের (Japan) এক নভশ্চর। তিনি সেদেশের এক ধনকুবের ইউসাকু মায়জাওয়া। আপাতত চন্দ্রাভিযানের স্বপ্নে বুঁদ তিনি।
এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। বিপুল খরচ করে তাঁর মহাকাশ যাত্রা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে মায়জাওয়া জানিয়েছেন, মহাকাশ ভ্রমণ সম্পর্কে তাঁর যা ধারণা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাঁদের অভিযান নিয়ে উত্তেজিত তিনি। সংবাদ সংস্থাকে এপিকে জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ”আমার পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩ সালে চাঁদে যাওয়ার। প্রস্তুতির একেবারে শেষ পর্বে রয়েছি আমরা। এই মুহূর্তে অভিযানের ৮ জন মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হচ্ছে।”
আগেই জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে আরেক ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থার রকেটে করে তিনি চাঁদে যাবেন। কেবল নিজে একাই যাচ্ছেন না। তিনি সঙ্গে নিয়ে যাবেন আরও ৮ জনকে। এবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ১২ দিনের অভিযান গিয়ে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন তাঁর চন্দ্রাভিযান নিয়ে।
কেমন ছিল স্পেস স্টেশনে থাকার অভিজ্ঞতা? মূলত দু’টি সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি। একটি হল গতিজনিত সমস্যা। অন্যটি ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা। বিশেষ করে ঘুম নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ঘুমনোই মহাকাশের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ২০ ডিসেম্বর তিনি ফিরছেন পৃথিবীতে। তার আগে উপভোগ করে নিতে চান বাকি ক’দিনের অভিজ্ঞতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.