অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: আপনি কি জানেন ‘দ্য গ্রেট বেনিয়ন ট্রি’ কোথায় অবস্থিত? আপনার উত্তর যদি হয় যে এটি হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্যানে অবস্থিত, তাহলে আপনার উত্তরটি ভুল। বলে রাখা ভালো, গত ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ‘দ্য গ্রেট বেনিয়ন ট্রি’র তকমা পায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটবৃক্ষ। এখন এই তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরের থিন্নাম্মাপুরে অবস্থিত একটি দৈত্যাকার বট গাছ।
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানের আধিকারিক ডঃ দেবেন্দ্র সিং বলেন, “আয়তনের দিক থেকে ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ‘দ্য গ্রেট বেনিয়ান ট্রি’ হিসাবে মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছিল এই বটগাছটি। বর্তমানে অন্ধ্রের বিশাল বাট গাছের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে আমি আপনাকে বলে রাখি যে এটি শুধুমাত্র আয়তনের দিক থেকে। আমরা যদি তাদের শাখাগুলি দেখি তবে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিশাল বটগাছটি সেদিক থেকে এগিয়ে। কারণ, ওই বটগাছটির ৫ হাজারেরও বেশি শাখা রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের গাছটি সেদিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে। আমাদের একটি বৈজ্ঞানিক দল ওই বিশাল বটগাছ দেখে নানা তথ্য সংগ্রহ করতে এই মাসে অন্ধ্রপ্রদেশে রওনা দেবে। “
বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছটি ১৯ হাজার ৬৬৭ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত। অন্ধ্রপ্রদেশে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নয়া নথিভুক্ত হওয়া বটগাছটির ক্ষেত্রফল ২১ হাজার বর্গমিটার। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানের আধিকারিক ডঃ দেবেন্দ্র সিংয়ের মতে, ওই এলাকা অনুযায়ী গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্ধ্রপ্রদেশের বটগাছটি জায়গা দখল করেছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বটগাছটি একটি সীমিত বৃত্তাকার আকারে বিস্তৃত। দৈত্যাকার বটগাছটি তার শাখাগুলির সঙ্গে জেড আকারে ছড়িয়ে রয়েছে।” বিশাল বটগাছটির যত্ন নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ দলও রয়েছে। তাঁদের রক্ষণাবেক্ষণে বটগাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানের আধিকারিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.