সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর বাইরে সত্যিই কি প্রাণ রয়েছে কোথাও? সৌরজগৎ বা ব্রহ্মাণ্ডে খুঁজলে এমন গ্রহ কি পাওয়া যাবে না যেখানে প্রাণ আছে?
এমন প্রশ্ন ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। ভিনগ্রহবাসীদের সন্ধানে দিনরাত এক করে চলছে গবেষণা। প্রশ্ন অনেক। সত্যিই কি এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে? থাকলে কোথায়? তারা কি পৃথিবীবাসীর বন্ধু, না শত্রু? তাদের কোনও কুমতলব নেই তো? আর এমন প্রশ্ন মনে জাগবে নাই বা কেন? যে বিষয় মানুষের কাছে এখনও অজানা, মানুষ তো তাকেই ভয় পায়। এলিয়েন তাই ভয়ের অন্যতম জায়গা। আর যেহেতু ভিনগ্রহের বাসিন্দারা অজানা, অচেনা; তাই কল্পবিজ্ঞানে তাদের অবাধ যাতায়াত। তা সে সত্যজিৎ রায়ের ‘অ্যাং’-ই হোক বা স্পিলবার্গের ‘ইটি’; হাল আমলের ‘জাদু’-ও অবশ্য ব্যতিক্রম নয়। এলিয়েন নিয়ে এইসব বিজ্ঞান আর কল্পবিজ্ঞানের গোলকধাঁধার মধ্যেই খবর পাওয়া গেল ভিনগ্রহ থেকে নাকি সংকেত পাঠাচ্ছে সেখানকার প্রাণীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর বাইরে থেকে তাঁরা একের পর এক সংকেত পাচ্ছেন। কয়েক যোজন আলোকবর্ষ দূরের কোনও ছায়াপথ থেকে আসছে সেই সংকেত। সেগুলো বেশ রহস্যজনক। সম্প্রতি আটটি সংকেত পেয়েছেন তাঁরা। মহাকাশ থেকে পাঠানো এই সংকেতগুলি ধরা পড়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপে। কর্নেল ইউনিভার্সিটির জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে, কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট টেলিস্কোপে আটবার ফাস্ট রেডিও বার্স্টের (FRB) খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলো কি এলিয়েনরাই পাঠাচ্ছেন? এনিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে ক্ষীণ সম্ভাবনা তো আর উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিজ্ঞানীদের মতে, ২০০৭ সালে প্রথম ফাস্ট রেডিও বার্স্টের খোঁজ পাওয়া যায়। পাঁচ বছর পর প্রথমবার ফাস্ট রেডিও বার্স্টের পুনরাবৃত্তি হয়। এখনও পর্যন্ত কয়েক ডজন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে তার মধ্যে মাত্র দু’টো পুনরায় পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এখনও সেই সংকেতের রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি। পারলে হয়তো মহাকাশ বিজ্ঞানের এক নতুন দ্বার খুলে যাবে। হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে ভিনগ্রহের প্রাণীদের। হয়তো পৃথিবীরই কোনও মানুষের বন্ধু হয়ে উঠবে ‘অ্যাং’, ‘ইটি’ বা ‘জাদু’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.