সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশের (Space) রহস্য হয়তো কোনও দিনই শেষ হওয়ার নয়। এবার নতুন করে রহস্য ঘনাল এক আশ্চর্য দৈত্যাকার বুদবুদকে ঘিরে। ৫০০ আলোকবর্ষ জূড়ে ছড়িয়ে থাকা ওই শূন্যস্থানকে কেন্দ্র করে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আজ থেকে ১ কোটি বছর আগে এক সুপারনোভার কারণেই সৃষ্টি হয়েছিল ওই বুদবুদটি।
‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। সেখানেই জানানো হয়েছে, ওই মহাজাগতিক বুদবুদের কথা। মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা আণবিক মেঘের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র খুঁটিয়ে দেখার সময়ই ওই বুদবুদটির দিকে নজরে পড়ে গবেষকদের। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একপ্রান্তে রয়েছে পার্সিয়াস ও টরাস আণবিক মেঘের দল। সেই মেঘই ঘিরে রেখেছে ওই অতিকায় বুদবুদটিকে। প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চলেই বহু নক্ষত্রের জন্ম হয়। গবেষকদের ধারণা কোনও সুপারনোভার কারণেই বুদবুদটির জন্ম।
এবিষয়ে বিজ্ঞানীদের দু’টি থিয়োরি রয়েছে। একটি থিয়োরি অনুযায়ী, ওই শূন্যস্থানের পাশেই এক সুপারনোভার অস্তিত্ব ছিল। সেটি থেকেই গ্যাস নির্গত হয়ে ‘পার্সিয়াস ও টরাস সুপারশেল’ তৈরি করেছে। অথবা এমনও হতে পারে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বহু সুপারনোভার সম্মিলিত কারণেই ওই রহস্যময় বুদবুদটির সৃষ্টি হয়েছে। যার কিনারা ঘেঁষে অবস্থান করছে অসংখ্য নক্ষত্র।
জন্মের পর থেকেই ব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছে। আজও সেটি প্রসারিত হয়ে চলেছে। বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোঝার চেষ্টা করে চলেছেন ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ। আর সেই কারণেই ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই ম্যাপ থেকেই আবিষ্কৃত হল এক আশ্চর্য বুদবুদ। উল্লেখ্য, এর আগে দ্বিমাত্রিক ম্যাপ ব্যবহার করা হত ব্রহ্মাণ্ডকে বুঝতে। কিন্তু এবার মহাকাশের ধূলিকণাকে পর্যবেক্ষণ করে তৈরি করা হয়েছে ত্রিমাত্রিক মানচিত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.