সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয় নয় করে কেটে গিয়েছে ৫০ টি বছর। চন্দ্রাভিযানের (Moon Mission) ইতিহাসে অ্যাপোলো যুগ বিস্মৃতপ্রায়। এবার আরেক গ্রিক দেবীকে স্মরণ করে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার পরবর্তী ধাপে পা রেখেছে নাসা (NASA)। তবে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার আগ মুহূর্তে থমকে গেল ‘আর্তেমিস ১’ (Artemis 1)। তিন নম্বর ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় আপাতত স্থগিত করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হতে পারে।
নাসার ‘ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন’ অভিযানের অংশ হিসেবে পাঠানোর কথা ছিল আর্তেমিস ১-কে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উপর নজরদারি চালিয়ে আগামী বছর ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে। এই অভিযান ঘিরে স্বভাবতই তুমুল উত্তেজনা মহাকাশবিজ্ঞানী মহলে।
‘ওরিয়ন স্পেসক্রাফট’, ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট’ এবং ‘গ্রাউন্ড সিস্টেম’ – মূলত এই তিনটি সিস্টেমের উপর ভর করে তৈরি ‘আর্তেমিস ১স ১’। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন’-এর একেবারে প্রথমদিকের অংশ এই অভিযান। এটি সফল হলে ২০২৪ সালে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে নাসা। তার নীল নকশাও তৈরি। বিশাল এসএলএস (SLS) রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্রাফটের সাহায্যে চাঁদের বৃত্তে পৌঁছে যাবেন মহাকাশচারীরা। তারপর সেখান থেকে তাঁরা SpaceX’s Human Lander System (HLS) করে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ, যা সর্বদা বরফাবৃত, সেখানে পা রেখে চলাচল করতে পারবেন।
এখন এই অভিযানের আগে প্রস্তুতি হিসেবে আর্তেমিস ১-কে পাঠানো হবে চাঁদে। নাসার লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে নতুন প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা। এসএলএস (SLS) রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্রাফটের পারফরম্যান্স দেখে এই প্রযুক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। দেখা হবে, এই দুই যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা বিজ্ঞানীদের হিসেবের সঙ্গে মেলে কি না। আগের যে কোনও চন্দ্রযানের তুলনায় ‘আর্টেমিস ১’-এর বেশি দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার কথা। ৪২ দিনে ৬০ হজারা কিলোমিটার। এই অভিযান সফল হলে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নভোশ্চর পাঠাবে নাসা। সেক্ষেত্রে কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহাকাশচারীকে দেখা যেতে পারে চন্দ্রপৃষ্ঠে। ২০২৫ সালে আবার ফিরবেন তাঁরা। তবে এখন সমস্ত নজর ‘আর্তেমিস ১ ১’-এর সাফল্যের দিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.