Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

আমফানের দাপটে তামাটে হয়ে যাচ্ছে সবুজ সুন্দরবন, উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Amphan Effect: Sunderban's Greenery turns brown
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 5, 2020 6:37 pm
  • Updated:June 5, 2020 6:37 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আয়লার সময় নোনাজল গ্রাস করেছিল দ্বীপের পর দ্বীপ, তবুও দেখা যায়নি এই চিত্র। যা দেখা গেল আমফান পরবর্তী সুন্দরবনে। সবুজ ঘন সুন্দরবন রূপ নিচ্ছে তামাটে। কোথাও বা পুড়ে ঝলসে কালো হয়ে গেছে কচি পাতা। নোনা জলের প্রকোপ বাড়ায় এই কারণ এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

আজ, শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আমফান পরবর্তীতে সুন্দরবনের উপর পড়েছে তার বিরূপ প্রভাব। ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন তথা গাঙ্গেয় এলাকার জীববৈচিত্রের। ঝড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে অথবা ক্ষতি হয়েছে প্রচুর ম্যানগ্রোভ-সহ বিভিন্ন গাছের। আর তাই আমফান পরবর্তী সুন্দরবনের গাছ লাগানোর উদ্যোগ বেড়েছে সমাজের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে। কিন্তু এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে এক অন্য সমস্যা। এই সমস্যা যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে সবুজ বনানী ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাবে। নোনাজলে সবুজ মরে যাওয়ায় ক্ষত তৈরি হবে সুন্দরবনের দ্বীপে দ্বীপে। মনোরঞ্জন মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঝড়ের দিন নদীর পাড়ে এসে বুঝতে পারি এটি স্বাভাবিক বৃষ্টি হচ্ছে না। কারণ মুখে জল লাগার সঙ্গে সঙ্গে চোখ মুখ বিরাট ভাবে জ্বালা করছিল। মিষ্টি জল দিয়ে ধোয়ার পরে তবে সেই জ্বালা কমে। বৃষ্টিতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ ছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিবেশপ্রেমী দিলীপ ঘোষ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নিজের হাতে গাছ লাগালেন কলকাতার রাস্তায়]

স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২০ মে’র পর থেকে সুন্দরবনের দ্বীপ লাগোয়া যে সমস্ত গাছগুলি মিষ্টি জলে তৈরি হয় সেগুলোতে ক্ষতি বেশি হয়েছে। ইউক্যালিপটাস, নিম, সোনাঝুরি প্রভৃতি গাছে ব্যাপক ক্ষতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গাছ ভেঙে না পড়লেও এবং নোনাজলের কাজ না করলেও গাছের সবুজ পাতা সব বাদামি হয়ে যাচ্ছে। তবে শুধুমাত্র লোকালয়ের গাছে যে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে তাও নয়, নদীর পাড়ে অবস্থিত বাইন, গেওয়া, কেওড়া প্রভৃতি গাছের পাতা পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। আর কিছুদিন পরে ঝরে পড়ছে সেই সব পাতা। সেই কারণেই চিন্তা বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, “সমুদ্রের নোনা জলের প্রকোপ বেড়ে তা কুয়াশার আকারে বৃষ্টির সঙ্গে গ্রামগুলিতে ঝড়ের দিন যথেষ্ট পরিমাণে ঝরে পড়েছে আর সেই কারণেই নোনা জলের প্রকোপ সহ্য না করতে পেরে গাছগুলি এই ভাবেই বাদামি রং ধারণ করছে। তবে গাছগুলো থেকে নতুন পাতা গজানোর কথা শোনা যাচ্ছে। গাছগুলো একেবারে মরে যাচ্ছে এমন নয়। কিছু কিছু গাছ বেঁচে থাকছে।” 

[আরও পড়ুন: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ১০ বছরের নিমগাছের পুনর্জন্ম কলকাতায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement