ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্ব সর্প দিবসেই (World’s Snake Day) আবির্ভাব ওদের। তাই গুরুত্বও খানিক বেশি। বৃহস্পতিবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় অ্যানাকোন্ডার ঘর আলো করে এল এক, দু’টি নয়, ১১ টি শাবক। এই চিড়িয়াখানায় ২ পুরুষ এবং ২ নারী অ্যানাকোন্ডাকে গত বছর আনা হয়েছিল চেন্নাই থেকে। তাদের ১ জোড়ার মিলনে জন্ম নিল ১১টি শাবক। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, এদের রাজ্যের আরও ৩টি বনাঞ্চলে পাঠানো হবে। ঝাড়গ্রাম মিনি জু, উত্তরবঙ্গের রসিক বিল এবং খড়িবাড়ি মিন জু’তে চলে যাবে এই ১১টি শাবক অ্যানাকোন্ডা।
আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, গত বছর মাদ্রাজ স্নেক পার্ক থেকে ২টি পুরুষ এবং ২টি নারী অ্যানাকোন্ডাকে (Anaconda) আনা হয়েছিল এখানে। তাদের জন্য উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করা হয় এখানে। অ্যানাকোন্ডা এনক্লোজারের মধ্যেই ছিল সুইমিং পুল, জমি। যাতে তাদের কখনও বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে মনে না হয়। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে ছোট থেকে বড় – সববয়সের মানুষই ভিড় জমাতেন অ্যানাকোন্ডার এনক্লোজারের সামনে।
এরপর মে মাসে ১ জোড়া হলুদ অ্যানাকোন্ডার মিলন ঘটানো হয়। মাস দুই পর ১১টি শাবক জন্মায়। চিড়িয়াখানার কর্মীরা বলছেন, সদ্যোজাতরা আকারে অন্যান্য সর্পশাবকের তুলনায় বড়। আলিপুর চিডিয়াখানায় এত সংখ্যক অ্যানাকোন্ডা শাবক রাখার মতো জায়গা নেই। তাই কলেবরে বাড়তে থাকা শাবকদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য তাদের তিন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে পর্যাপ্ত স্থান এবং উপযুক্ত পরিবেশে ভালভাবে বড় হতে পারবে।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ জুলাই ছিল বিশ্ব সর্প দিবস। ওইদিন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০০০ নতুন শাবকের জন্ম হয়েছে। যার মধ্যে ভারতের অবদান ৩০০টি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩০০টি সর্প শাবক জন্মেছে এই দিনে। আলিপুর চিড়িয়াখানা তার মধ্যে বিশেষ। সেখানে একসঙ্গে ১১টি অ্যানাকোন্ডা শাবকের জন্ম হয়েছে। এমন এক ঘটনায় আলিপুর কর্তৃপক্ষ যেন বাড়তি আনন্দিত। নবজাতকদের আগমনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব সর্প দিবসকে এভাবে উদযাপন করার সুযোগ মিলল এবছর, মনে করছেন কর্তারা। শাবকদের জন্ম দেওয়ার পর অবশ্য বাবা, মা অ্যানাকোন্ডার বিশেষ হেলদোল নেই। তারা ফের নিজেদের জীবনে ফিরে গিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.