সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একতার প্রমাণ দিতে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার রাত ৯টায় সেই আবেদনে সাড়া দেন অনেকেই। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গন্ডগোল বাধল কিছু সময় পরেই। কারণ, আচমকাই আলোর পাশাপাশি শুরু হল শব্দদানবের দৌরাত্ম্য। ফাটল দেদার বাজি। তার জেরে লকডাউনেও ফের দূষণে মুখ ঢাকল আকাশ, বাতাস। বিষবাষ্পে অস্বস্তি বাড়ল পশু-পাখিদের।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। রাস্তার বেরনো বন্ধ করেছেন আমজনতা। তার ফলে আবারও যেন নিজেদের জায়গা ফিরে পেয়েছে পশুপাখিরা। মনের সুখে চতুর্দিকে ঘুরে ফিরে কিচিরমিচির করে বেড়াচ্ছে পাখির দল। কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণ আবার কোথাও ডলফিন। করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষ ঘরের দরজা বন্ধ করে বসার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশ দূষণের গ্রাফও নিম্নমুখী।
কিন্তু রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটেই বদলে গেল প্রায় সব কিছু। দেদার শব্দবাজি ফাটায় ফের উর্ধ্বমুখী পরিবেশ দূষণের গ্রাফ।বাজি ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা আতঙ্কের মাঝে প্রায় ৬ কোটি টাকার বাজি বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের ফলে লক্ষ্মীলাভ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে মোদির ঘোষণার পরই নাকি অনেকে বাজি ব্যবসায়ীদের বরাত দেন। সেই অনুযায়ী বাজির জোগান দিতে পেরে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ভালই। যার ফলে মন্দার দিনে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এই লকডাউনের মাঝে মোদির ঘোষণাই যেন স্বস্তির অক্সিজেনের জোগান দিয়েছে তাঁদের।
বাজি ব্যবসায়ীরা যখন দিনবদলের স্বপ্নে বিভোর, তখন হাঁসফাঁস দশা পশুপাখিদের। পরিবেশপ্রেমীরাও বাজি ফাটিয়ে রবিবার রাতে অকাল দিপাবলি উদযাপনকে ভাল চোখে দেখছেন না। তাঁদের মতে, শব্দবাজি শুধু যে শব্দদূষণ করেছে তা নয়, বাতাসে দূষণের মাত্রাও বাড়িয়েছে। আমেরিকান কনস্যুলেট জেনারেলের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ১৫৬। যা যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর। তার ফলে পশু, পাখি ছাড়াও সাধারণ মানুষেরও দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, একটাই আশার কথা মাত্র ৯-১০ মিনিটেই শেষ হয়েছে শব্দবাজি পোড়ানো। দিপাবলির মতো বাজি ফাটানো হলে দূষণের মাত্রা যে আরও বৃদ্ধি পেত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.