ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণে আতঙ্কিত। সাম্প্রতিক হিসেব দেখাচ্ছে, ভারতে সংক্রমণের হার বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। কী করে এই ভাইরাসকে কাবু করা যায় তা নির্ধারণে পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের দেখা মিলতে পারে। তার আগে পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাই শ্রেয়। এর মধ্যেই এক নতুন গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর দাবি। সেখানে বলা হচ্ছে আয়োডিন দ্রবণ (Iodine solution) সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিন ধরনের পভিডোন-আয়োডিন দ্রবণকে (০.৫ শতাশ, ১.২৫ শতাংশ ও ২.৫ শতাংশ) করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে নিয়ে আসা হলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। একই পরীক্ষা ইথানল অ্যালকোহল নিয়েও করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পরীক্ষা একেবারেই ফলপ্রসূ হয়নি।
কানেক্টিকাট স্কুল অফ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের দাবি ০.৫ শতাংশের দুর্বল আয়োডিন দ্রবণের সামনেও যেভাবে করোনা ভাইরাস বেকায়দায় পড়েছে তা দেখে বিস্মিত তাঁরা। ‘জামা ওটোল্যারিঙ্গোলজি- হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’ পত্রিকায় ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগেও একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, আয়োডিন দ্রবণ সার্স জাতীয় ভাইরাসকে কাবু করতে সক্ষম হতে পারে।
গবেষকদের দাবি, এই দ্রবণ প্রয়োগ করলে ১৫ সেকেন্ড যথেষ্ট ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে। তাঁদের পরামর্শ এই দ্রবণ যদি নাসারন্ধ্র দিয়ে জীবাণুনাশক হিসেবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। গবেষকদের আরও দাবি, যদি কোনও ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিহ্ন দেখা যায় সেক্ষেত্রেও আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগ করলে তা ভাইরাসকে ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছতে আটকাতে পারবে।
তবে গবেষকরা সকলকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, কেউ যেন বাড়িতে এটি প্রয়োগ করতে না যান। কেবলমাত্র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই এটি প্রয়োগ করা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.