প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাশবিক’ শব্দটা হামেশাই ব্যবহৃত হয় নির্মমতা বোঝাতে। কিন্তু সত্য়িই কি পশুপাখিরা পারে মানুষের মতো নিষ্ঠুর হতে? বারবার এই প্রশ্ন উসকে ওঠে নানা রকম ‘মানবিক’ নির্দয়তার প্রকাশে। তারই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মিলল আমেরিকায় (US)। মার্কিন মুলুকে টেক্সাসের (Texas) সমুদ্রতীরে অসহায়ের মতো মৃত্যুবরণ করতে হল একটি ডলফিনকে (Dolphin)। তার ‘অপরাধ’ ভাসতে ভাসতে সে উঠে এসেছিল সৈকতে। আর তার ফেরা হল না জলের গভীরে। ফেসবুকের এক পোস্টে হতভাগ্য ডলফিনটির পরিণতি দেখে বিষণ্ণ নেটিজেনরা।
‘টেক্সাস মেরিন ম্যামাল স্ট্র্যান্ডিং নেটওয়ার্ক’ ফেসবুকে পোস্ট করেছে ডলফিনটির নির্মম পরিণতির কথা। আর তা থেকেই সামনে এসেছে পুরো ঘটনা। ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, সন্ধেবেলা টেক্সাসের সৈকতে ভেসে এসেছিল ডলফিনটির দেহ। কিন্তু তখনও সেটি বেঁচে ছিল। এই পরিস্থিতিতে সেটির শুশ্রুষা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যাঁরা পেশাগত ভাবে এই ধরনের প্রাণীকে সমুদ্রে ফেরাতে পারত, তাঁদের কাছে খবর না দিয়ে সেটির উপরে অত্যাচার করার ফলেই প্রাণ হারাতে হল অসহায় ‘না-মানুষ’ ডলফিনটিকে।
জানা যাচ্ছে, সৈকতে ভিড় করে থাকা সাধারণ মানুষ প্রাণীটির পিঠে চাপার চেষ্টা করছিল। নানা ভাবে উত্যক্ত করছিল ডলফিনটিকে। খানিক পরেই দেখা যায় ডলফিনটির নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে রয়েছে সৈকতে। তখনও উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছতেই পারেননি।
ফেসবুকে পোস্টের সঙ্গে দু’টি ছবিও শেয়ার করেছে ওই অলাভজনক সংস্থাটি। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে জনতার অত্যাচারে অসহায়ের মতো চিৎকার করছে ডলফিনটি। পোস্টে ওই সংস্থার তরফে আরজি জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনও ডলফিন কিংবা তিমিকে এভাবে সৈকতে ভেসে আসতে দেখলে তাকে উত্যক্ত না করে কিংবা জলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে যেন তৎক্ষণাৎ ফোনে খবর দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পোস্টটি দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। কী করে এমন আচরণের শিকার হল প্রাণীটি, প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.