চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: রকমারি গাছ লালন-পালন করে of Hal সুরক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য রক্ষার দিশা দান তাঁর অভ্যাস। মাটি তৈরি, চারগাছ রোপন থেকে পরিচর্যার পরামর্শ দিতে তিনি প্রস্তুত। শুধু গাছ লাগানোর আগ্রহ দেখালেই সহযোগী হিসেবে পাশে পাওয়া যাবে হলদিয়ার সুতাহাটার বাসিন্দা তাপসকুমার জানাকে।
টানা তিরিশ বছর ধরে বাগান তৈরির কাজ করে চলেছেন তাপস কুমার জানা। নিজের বাড়ির বাগান তৈরির পাশাপাশি বহু মানুষকে গাছ লাগানো, বাগান তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন তাপসবাবু। ফুল, ফল, বনসাই, পাতাবাহার, ক্যাকটাস, অর্কিড সব মিলিয়ে নিজের বাড়িতেই ৩০০ রকমের গাছের বাগান গড়েছেন তিনি। দেড় ফুট উচ্চতার ২৫ বছরের পুরানো বট, ২৩বছরের পাকুড়, ২২ বছরের বকুল তার বাগানের গর্বিত সদস্য।
বিভিন্ন গোলাপ, জবা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকার সঙ্গে এলাচ, দারচিনি, অলস্পাইস গাছ দেখা যায় তাপসবাবুর বাগানে। রকমারি পাতিলেবু, মাল্টা, ড্রাগনফ্রুটও রয়েছে। আর গাছ থাকলে পাখি তো আসবেই। তার বাগানে এসে খেলা করে ছাতার, হাঁড়িচাচা পাখি। আর সেখানেই তাপসবাবু সফল পরিবেশ সুরক্ষা, বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার প্রশ্নে।
তাপসবাবু বলেন, “গাছ লাগানোর শখ দীর্ঘদিনের। পাশাপাশি লোকজনকেও গাছ লাগাতে, বাগান তৈরিতে উৎসাহিত করি। উদ্দেশ্য পরিবেশ সুরক্ষা। সেই সূত্রে বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষার কাজটিও হয়ে যায়। সুস্থ পরিবেশ গড়তে পারলে, আমরাও সুস্থ থাকব। এই সহজ কথাটি মানুষের মধ্যে প্রসার ঘটাতে চাই।” ভবিষ্যতে আরও গাছ লাগাতে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। আর সে পথেই সবুজের পরিসর বাড়াতে তিনি ব্রতী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.