সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টেলার ব্ল্যাক হোল। পুরো নাম স্টেলার মাস ব্ল্যাক হোল। যখন কোনও নক্ষত্রের মৃত্যু হয়, সাধারণত এই ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) সৃষ্টি হয় তখনই। আর তা-ও আবার বিস্ফোরণের মাধ্যমে। বিশালাকার কোনও নক্ষত্র যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, তখন সাধারণত বড়সড় বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু বিশেষ একটি ক্ষেত্রে তা হয়নি। আর সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। এই প্রথম আকাশগঙ্গা ছায়াপথের (Galaxy) পড়শি ছায়াপথ তথা নক্ষত্রপুঞ্জে এমন একটি কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান মিলেছে, যা তৈরি হয়েছে এমন একটি নক্ষত্র থেকে, যার ‘মৃত্যু’তে কোনও বড় বিস্ফোরণের খবরই নেই।
‘ভিএফটিএস-২৪৩’ নামের ওই কৃষ্ণগহ্বরটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ‘লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউড’-এ। ইউরোপীয় সাদার্ন অবজারভেটরির (ESO) বিজ্ঞানীরা ‘ভিএলটি’ ব্যবহার করে আবিষ্কার করেছেন এই মহাজাগতিক বিস্ময়কে। ‘ভিএলটি’ অর্থাৎ ‘ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ’। তবে এই আবিষ্কারের নেপথ্যেও রয়েছে চমক। বিজ্ঞানীদের এই দলটি কৃষ্ণগহ্বরের আবিষ্কার-পর্ব নাকচ করার জন্যই সুবিদিত।
অর্থাৎ সৌরজগতে কোথাও কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে বলে জানা গেলে, এই বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক যুক্তি-তত্ত্ব পেশ করে, সেই আবিষ্কারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেন। কিন্তু এবার তাঁরা তা করতে পারেননি। কারণ এবার তাঁরাই হদিশ পেয়েছেন অভিনব এই ‘ব্ল্যাক হোল’-এর।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আকাশগঙ্গার (Akash Ganga) পড়শি ওই ছায়াপথে আবিষ্কার হওয়া এই কৃষ্ণগহ্বরটিই হল প্রথম ‘ডরম্যান্ট ব্ল্যাক হোল’ অর্থাৎ সুপ্ত দশায় ছিল। ‘ভিএফটিএস-২৪৩’-ভর সূর্যের তুলনায় অন্তত ন’গুণ বেশি। তাছাড়াও এটি এমন একটি তপ্ত এবং নীল রঙের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে, যার ওজন সূর্যের তুলনায় ২৫ গুণ বেশি। লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউডের টারানটুলা নেবুলা এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজে মিলেছে এই কৃষ্ণগহ্বর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.