সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়নের (Global Warming) ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলস্বরূপ বহু প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে পৃথিবী থেকে। যা নিয়ে চিন্তিত জীববিজ্ঞানীরা। এবার অস্ট্রেলিয়ার (Australia) একটি সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়ে ২০০টি পাইলট প্রজাতির তিমির (Pilot Whales) মৃত্যু হল। সমুদ্র উপকূলে কীভাবে বিরাট প্রাণীগুলি আটকে পড়ল, কেন অসুস্থ হল তারা, তা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে আটকে পড়েছিল ২৩০টি পাইলট প্রজাতির তিমি। তাসমানিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে ৩৫টি তিমিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ওই তিমিগুলিকে গভীর সমুদ্র ছেড়ে দেওয়ার কাজ চলছে। অর্থাৎ ১৯৫টি তিমি মারা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসা অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলের ভয়ংকর দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন বিজ্ঞানী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা। দেখা যায় জলরেখা বরাবর অসংখ্য মৃত তিমির সারি। যদিও স্থানীয়রা প্রাণীগুলির দেখা পাওয়া মাত্র তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা কম্বল দিয়ে প্রাণীগুলিকে ঢেকে দেন। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়া তিমিগুলির শরীরে প্রচুর পরিমাণে সমুদ্রের নোনা জল ঢালতে থাকেন। প্রাণী উদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রেনডন ক্লার্ক বলেন, “আমরা সৈকত থেকে প্রায় ৩৫টি জীবিত প্রাণী উদ্ধার করতে পেরেছি। আজ সকালে আমাদের কাজ হল প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা ও তাদেরকে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া।”
এভাবে গণহারে তিমির মৃত্যুর জন্য তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে পরিবেশ দূষণ দায়ী হতে পারে, বলছেন ব্রেনডন ক্লার্ক। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে সৈকতের খুব কাছে চলে আসার পর দলছুট সঙ্গীদের অনুসরণ করতে গিয়ে এমনটা ঘটে থাকে। এখানেও তেমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বছর দুয়েক আগে ম্যাককোয়ারি উপকূলে ৫০০ তিমি উঠে এসেছিল। সেবার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী প্রাণীগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টায় নেমেছিল সৈকতে। এরপরেও ৩০০টি তিমির মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) দক্ষিণ দ্বীপের একটি সমুদ্রসৈকতে প্রায় ৭০০ তিমি উঠে এসেছিল। এর মধ্যে ২৫০টির মৃত্যু হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.