সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট বয়স থেকেই মহাকাশ তাকে টানত। তারায় ভরা আকাশের রহস্যে মগ্ন থাকত ছেলেটি। আর সেই আগ্রহ থেকেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একের পর এক তথ্যচিত্র দেখে ফেলা। ক্রমে মহাকাশের বহু কিছু তার নখদর্পণে চলে যায়। কিন্তু সে কি ভাবতে পেরেছিল আস্ত এক গ্রহাণু আবিষ্কার করে ফেলবে সে! নয়ডার কিশোর দক্ষ মালিকের আবিষ্কারে মুগ্ধ নাসা। এই গ্রহাণুর নামকরণের সুযোগও পেতে চলেছে দক্ষ।
আবিষ্কৃত গ্রহাণুটির নাম ২০২৩ ওজি৪০। এবার নাসা পরীক্ষা করে দেখবে এই আবিষ্কারের খুঁটিনাটি। তবেই সেটাকে স্বীকৃতি দেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আর তারপরই ওই গ্রহাণুর নাম দিতে পারবে দক্ষ। বছর চোদ্দোর ছেলেটির দেওয়া নামেই পরিচিত হবে গ্রহাণুটি।
কিন্তু কীভাবে গ্রহাণুটি আবিষ্কার করল সে? জানা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক গ্রহাণু আবিষ্কার প্রকল্পে অংশ নিয়েছিল দক্ষ। তাদের স্কুলের অ্যাস্ট্রনমি ক্লাব থেকে তার সঙ্গে আরও দুজন যোগ দিয়েছিল ওই প্রকল্পে। নাসার ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সার্চ কোলাবোরেশন’-কে ইমেল পাঠানোর পরই মিলেছিল সুযোগ।
দক্ষ ও তার পাঁচ সঙ্গী মিলে অ্যাস্ট্রনমিকা নামের এক সফটওয়্যারের সাহায্যে গ্রহাণুর লক্ষণ সংক্রান্ত নাসার তথ্য যাচাই করে দেখত। মহাকাশে উড়ন্ত নানা বস্তুকে খতিয়ে দেখে সেগুলির মধ্যে কোনগুলি গ্রহাণু হতে পারে তা বের করাই ছিল কাজ। আর তা করতে গিয়েই একটি গ্রহাণু আবিষ্কারও করে ফেলে সে।
কেমন ছিল ১৮ মাস ওই প্রকল্পে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা? দক্ষ জানাচ্ছে, ”ছোটবেলা থেকেই আমার মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ ছিল। আমি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের গ্রহ ও সৌরজগৎ নিয়ে তথ্যচিত্রগুলি দেখতাম। এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। ওই প্রকল্পে যুক্ত থাকাটা ছিল দারুণ মজার অভিজ্ঞতা। আমি যখন গ্রহাণু দেখতাম, তখন মনে হত আমি নাসার হয়েই কাজ করছি। ভাবছিলাম এই গ্রহাণুকে কি আমি ডেস্ট্রয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড বলে ডাকব?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.