নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এই প্রথমবার অন্যরকম মকর সংক্রান্তি পালিত হল তারাপীঠে (Tarapith)। সেই গঙ্গাসাগর থেকে বড়সড় পিতলের কলস ভরতি করে এল জল। আর সেই পবিত্র জলেই আজকের পুণ্য তিথিতে স্নান করলেন মা তারা। আর নেপথ্যে গোটা উদ্যোগটাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর এহেন ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত খুশি তারাপীঠের সেবাইতরা। গোটা তারাপীঠের ছোট-বড় সমস্ত মন্দিরেই গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) এই পবিত্র জল দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ কলস করে গঙ্গাসাগরের জল পৌঁছয় তারাপীঠ মন্দিরে। সে কলসের যা ওজন যে তা ধরাধরি করে মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যেতে বেশ কয়েকজনকে ধরতে হয়। এরপর সেই জল থেকে মা তারাকে স্নান করানো হয়। সেবাইতরা সেই জল মাথায় নিয়ে প্রণাম করেন। এরপর সেই জল পাঠিয়ে দেওয়া হয় তারাপীঠের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে (Temple)। সেইসব মন্দিরেই এই জল দেবতার বিগ্রহে নিবেদন করা হয়।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তথা সেবাইত তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী এই কলসে করে গঙ্গাসাগরের জল পাঠিয়েছেন। এই প্রথমবার গঙ্গাসাগরের জলে আমরা মা তারাকে স্নান করালাম। পরে তারাপীঠের সমস্ত মন্দিরের দেবদেবীর উদ্দেশে এই জল পাঠানো হয়েছে। সেবাইতরা মাথায় সেই জল ঠেকিয়ে পুণ্য অর্জন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে আমরা অভিভূত। তাঁকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাই।”
অন্যান্য বছর মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti)দিন বক্রেশ্বরের উষ্ণ প্রস্রবণের জলে স্নান করানো হয় তারাপীঠের আরাধ্যা দেবী মা তারাকে। এই উপলক্ষে মকর সংক্রান্তির দিন বক্রেশ্বরে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। তাঁরাও ওই জলে স্নান করেন। ৩ সতীপীঠের বীরভূম (Birbhum) জেলায় এই দিনে দুটি জায়গায় পুণ্যস্নানের ভিড় হয় – বক্রেশ্বর এবং জয়দেবের মেলা লাগোয়া অজয় নদে।
করোনার কোপে এবার অজয় নদে পুণ্যস্নানের কড়াকড়ি রয়েছে। বাইরের পুণ্যার্থীদের ঘাটে নামায় জারি নিষেধাজ্ঞা। আর বক্রেশ্বরে তেমন ভিড় নেই। তবে করোনা কাঁটায় তারাপীঠ মন্দির খোলা। নিয়ন্ত্রিত সংখ্যক পুণ্যার্থীদের প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে সেখানেও ভক্তসমাগম অনেক কম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.