Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেন কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় তারাপীঠে?

এই তিথির মাহাত্ম্য কোন জায়গায় আলাদা।

This is why devotees throng Tarapith on ‘Kaushiki Amabasya
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 21, 2017 12:45 pm
  • Updated:October 4, 2019 5:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ট্রেন চলাচল অনিয়মিত। হোটেলগুলি ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকছে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যায়  পুণ্যার্থীদের তারাপীঠ যাওয়া চাই। মা তারাকে পুজো দেওয়ার জন্য ঘণ্টার ঘণ্টার লাইনে দাঁড়াতেও তাঁরা ক্লান্ত হন না। এই বিশেষ তিথির নাম কৌশিকী অমাবস্যা। বীরভূমের এই সিদ্ধপীঠে কেন বিশেষ দিনটিতে দর্শনার্থীরা যাওয়ার চেষ্টা করেন। তা নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন।

[উত্তরবঙ্গের বন্যার জন্য বিহারের দিকে আঙুল মুখ্যমন্ত্রীর]

Advertisement

পুরাণ বলছে দেবী তারার অপর নাম কৌশিকী। কৌশিকী রূপেই এই অমাবস্যা তিথিতে অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন মা তারা। এই তিথিতে সাধাক বামক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। এমন এক দিনের সাক্ষী হতেই পুজো দিতে আসেন পুণ্যার্থীরা। এই দিন সাধু-সন্তরা শ্মশানে সিদ্ধিলাভের আশায় যজ্ঞ করেন।

বছরের বাকি ১১টি অমাবস্যার থেকে কৌশিকী অমাবস্যা একটু আলাদা। তন্ত্র ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিতে কঠিন সাধনা করলে এদিনে আশাতীত ফল মেলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রি বলা হয়। এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরকের এর দুয়ার কিছুক্ষণের জন্য উম্মুক্ত হয়ে যায়। ইচ্ছাপূরণ হয়ে সাধকের।

জনশ্রুতি অনুযায়ী দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তারা মর্ত্যে এদিন আবির্ভূত হন। বৌদ্ধ ধর্মের অন্তর্গত বজ্রযানে এই তিথিতে ভাত খাওয়া নিষিদ্ধ।

এবারের কৌশিকী অমবস্যার তিথি রবিবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা ১১ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়ছে।

[জিএসটির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের]

প্রশাসনের হিসাবে এবার পুজো উপলক্ষে তিন থেকে চার লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে। তবে উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কিছুটা ভিড় কমেছে। তারাপীঠে কত লোক হচ্ছে তা গোনার জন্য দ্বারকা সেতু এবং তারাপীঠ তিন মাথার মোড়ে যন্ত্র বসানো হয়েছে। ভিড়ের কারণে অনেকেই মন্দিরে পুজো দিতে পৌঁছাতে পারেন না। দূর থেকে মা তারাকে প্রণাম করে ফিরতে হয়। তাদের জন্য এবার বিশেষ ধরনের জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। গর্ভগৃহের পুজোর্চনার ছবি ১২/৮ জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়। এবারই প্রথম নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement