Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jagannath Dev

১০৮ কলসির জলে স্নান করবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, কোন পূণ্যলগ্নে এবারের স্নানযাত্রা?

জগন্নাথদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

Snan yatra of Jagannath Dev
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 19, 2024 1:26 pm
  • Updated:June 19, 2024 1:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথদেবের স্নান যাত্রা! হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পূণ্যতিথি। কথিত আছে এই স্নানযাত্রার সাক্ষী থাকলে পাপ ধুয়ে যায়! তাই অসংখ্য ভক্ত এই দিনে পাড়ি দেন পুরীতে। রথযাত্রার আগে এই স্নানযাত্রা হয় তা বলে দেওয়ার দরকার নেই। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই আয়োজন করা হয়। তবে কেন হয় স্নানযাত্রা?

জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিকে জগন্নাথদেবের (Jagannath dev) জন্মতিথি বলে মানা হয়। তাই স্নানযাত্রার আগের দিন পুরীতে বলরাম, সুভদ্রা, জগন্নাথের মূর্তি-সহ সুদর্শন চক্র ও মদনমোহন বিগ্রহকে গর্ভগৃহ থেকে বার করে এনে স্নানবেদীতে রাখা হয়। সে এক বিশাল শোভাযাত্রা! ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথদেবকে বাইরেই দর্শন করতে পারেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জবরদখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ২০ দিনের মধ্যে জমি ফেরতের নির্দেশ হাই কোর্টের]

স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের উত্তর দিকের কুয়ো থেকে জল এনে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে শুদ্ধিকরণ করা হয়। তার পর ১০৮ টি কলসে সেই জল নিয়ে বিগ্রহগুলিকে স্নান করানো হয়। সেদিন সন্ধ্যায় স্নানপর্বের সমাপ্তির পর জগন্নাথ ও বলরামকে গণেশের রূপে সাজানো হয়। এই রূপটিকে বলা হয় ‘গজবেশ’।

Advertisement

কবে স্নান যাত্রা?
এই বছর আগামী ২২ জুন (June), শনিবার পালিত হবে স্নানযাত্রা। পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ২১ জুন সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি ছেড়ে যাবে ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিটে। উদয়া তিথির হিসেবে স্নানযাত্রা পালিত হবে ২২ তারিখ।

স্নানযাত্রার ইতিহাস
জগন্নাথদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কারণ আগেই বলা হয়েছে, এই দিনটাকে জগন্নাথদেবের জন্মতিথি হিসাবে মানা হয়। স্নানযাত্রার দিন ১০৮ টি কলসির জল দিয়ে স্নান করানো হয় বলরাম, জগন্নাথ, সুভদ্রাকে। কথিত আছে স্নানযাত্রার পর জ্বরে পড়েন তাঁরা। এই সময় ১৪ দিন তিনভাই বোনকে আলাদা একটি ঘরে রাখা হয়। ঈশ্বরের এই অসুস্থতার সময়কে শাস্ত্র মতে বলা হয় ‘অনসর’। এই সময়কালে ভক্তরা দেবতার দর্শন পান না। সেই সময় মন্দিরে বিগ্রহের বদলে একটি পটচিত্র রাখা হয়। জ্বর থেকে সেড়ে উঠে মাসির বাড়ি ঘুরতে যায় জগন্নাথ বলরাম, সুভদ্রা।  যা আমাদের কাছে প্রিয় রথযাত্রা।

[আরও পড়ুন: প্রেমের গল্প ফেঁদে লিভ ইন, প্রেমিকার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র লুকনো অস্ত্র! ফাঁস যুগলের কীর্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ