সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর যেন সবকিছুই অন্যরকম। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে সমস্ত অনুষ্ঠানে কাটছাঁট লেগেই রয়েছে। ব্যতিক্রম নয় গণেশ পুজোও। তাই তো এবছর পুজোর জৌলুস অনেকটাই ফিকে। তবে তা সত্ত্বেও ছোট করে পুজোয় আয়োজন করতে চান অনেকেই। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের প্রথমবার পরপর দু’দিনের লকডাউন। তার ফলে কীভাবে পুজোর সামগ্রী জোগাড় করা হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে বাংলার মানুষ।
করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতি এবং শুক্রবার লকডাউন। সেক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা হিসাবে ওষুধপত্র ছাড়া অন্যান্য সমস্ত দোকানপাটই বন্ধ থাকবে। এমনকী আমজনতারও বাড়ি থেকে বেরনো মানা। আবার এদিকে আগামী শনিবার গণেশ চতুর্থী। তাই পুজোর উপচার জোগানে সমস্যায় আমজনতা।
সেই কবে থেকে শুরু হয় গণপতি বাপ্পাকে তৈরির কাজ। অন্যান্য বছর গণেশ পুজোতেও ভালই আয় হয় পটুয়াপাড়ায়। হাসি ফোটে শিল্পীদের মুখে। তবে এবছর যেন পুরোটাই অন্যরকম। আদৌ বিক্রি হবে তো? এই আশঙ্কা নিয়ে আগের তুলনায় পরিমাণে অনেক কম মূর্তি বানিয়েছেন তাঁরা। প্রতিমা শিল্পীদের দাবি, একে করোনা পরিস্থিতিতে বাজেটে কাটছাঁট লেগেই রয়েছে। কিন্তু কাঁচামালের দাম বেশি। তাই তাঁরা চাইলেও খুব সস্তায় বিক্রি করতে পারবেন না প্রতিমা। তার উপর আবার রাজ্যজুড়ে পরপর দু’দিন লকডাউন। তাই বিক্রি যে আদৌ কতটা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। তবে যাঁরা গণপতি বাপ্পার মূর্তি এনে পুজো করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই লকডাউনের আগের দিন অর্থাৎ বুধবারই তা শিল্পীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। এ তো নয় গেল প্রতিমার কথা। কিন্তু দু’দিন আগে ফুল কিনে রাখা কার্যত অসম্ভব। রাজ্যে প্রথমবার পরপর দু’দিন লকডাউনের প্রভাবে যে গণেশের পুজোয় ফুল জোগাড় করতে কিছুটা বেগ পেতে হবে ভক্তদের, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.