সুব্রত বিশ্বাস: রাত পোহালেই দশহরা। হিন্দুদের কাছে বিশেষ পবিত্র দিন হিসাবে পরিচিত। এই তিথিতে দেবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে মর্তে আগমন করেছিলেন। মর্তের রুক্ষ মাটিকে শস্য-শ্যমলা করার পাশাপাশি যাতে তাঁর গতি ধ্বংসলীলা না চালাতে পারে সেজন্য মহাদেব দেবী গঙ্গাকে জটায় ধারণ করেন। শান্ত সলিলা দেবীর আগমনে মর্ত্য হয়ে উঠল সুজলা-সুফলা। তাই এই দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। গঙ্গা হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র নদী।
সনাতন ধর্মে শুভ কাজের মাধ্যমে অশুভের বিনাশের আশায় এই তিথিতে গঙ্গাস্নান বিশেষ পবিত্র। স্নানে পূর্বজন্মের দশটি পাপ এবং বর্তমানের দশটি পাপ ধুয়ে যায়। শাস্ত্র মতে এই তিথিকে পূর্ণ তিথি বলা হয়েছে। এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
[ আরও পড়ুন: কেন পালন করবেন জামাইষষ্ঠী? আচার-অনুষ্ঠানের আগে দেখে নিন ধর্মীয় ইতিহাস ]
কী করবেন
এই দিনে পঞ্জিকা নির্ধারিত সময়ে গঙ্গাস্নান করুন। দশ রকমের ফল দিয়ে দেবীর কৃপা কামনা করুন। আচার মেনে কেউ কেউ মনসাপুজোও করেন। গঙ্গাকে শিব জটায় ধারণ করে তেজস্বিনী রূপকে শান্ত করে প্রবাহিত করেন। তাই এদিন শিবপুজোও বিশেষ ফল দেয় পুণ্যার্জনের ক্ষেত্রে। শিবলিঙ্গ শান্তির প্রতীক। তাই এদিন শিবলিঙ্গকে পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করালে মহাদেব সন্তুষ্ট হন।
এই তিথিতে দান, ধ্যান মহৎ কাজের মতো ফল দেয়। এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। নানাবিধ ফলে দেবতাকে সন্তুষ্ট করলে পাপ ক্ষয় হয়। এদিন যথাসময়ে গঙ্গাস্নান সেরে দেবীকে দশটি প্রদীপ জ্বেলে, দশটি ফুল ও দশটি ফল দিয়ে পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। তবে লক্ষ রাখতে হবে এই তিথিতে কোনওরকম অপকর্ম করা চলবে না। তা হলে ফল খারাপের দিকে মোড় নেবে।
বারাণসীতে এই পুণ্যলগ্নে বহু মানুষ গঙ্গাস্নান করে পুণ্যার্জন করেন। এদিন আমিষ আহার করে ভক্তের দল। বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গারতির আয়োজন করা হয় এই বিশেষ তিথিতে।
[ আরও পড়ুন: লোকনাথ বাবার আশীর্বাদ পেতে তিরোধান দিবসে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.