Advertisement
Advertisement

Breaking News

ছট পুজো

সংসারে শ্রীবৃদ্ধি চান? ছট পুজোয় এই নিয়মগুলি মানতে ভুলবেন না

উপবাসী থেকেই ছট পুজো করেন মহিলারা।

From Rituals To Importance, Know All About Chhath Puja

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 31, 2019 9:16 pm
  • Updated:October 31, 2019 9:19 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই ছট পুজো। মূলত অবাঙালিদের এই পুজোয় সূর্য দেবতার আরাধনা করা হয়। একটাই কামনা সুখে শান্তিতে দিন কাটানো। কিন্তু ইচ্ছা হল আর পুজো করে ফেললেই তো পুণ্যার্জন হবে না। বরং নিয়ম মেনে সারুন ছট পুজো। তাতেই দেখবেন আপনার সংসার ভরে উঠবে সুখ-সমৃদ্ধিতে।

দুর্গাপুজোর মতো ছট পুজোও চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। তবুও সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এখন ছটের ডালা সাজাতে ব্যস্ত ভক্তরা। এই ছট পুজোর নানা নাম। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছট পুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় চল্লিশ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বনের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!

Advertisement

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ছট পুজোয় উপাচার হিসাবে কী কী লাগে। উৎসবের প্রথম দিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে রান্না করেন মহিলারা। এদিন দুপুরের খাবারে থাকে লাউ ভাত। অর্থাৎ ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি। সঙ্গে চানা ডাল সঙ্গে নানারকম সবজি। তবে এই সব রান্নায় নুন ব্যবহার করা যাবে না। পরিবারে যে ব্রত রাখেন তিনি ছাড়া এদিন পরিবারের সকলকেই দুপুরে এই লাউয়ের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হয়। তবে রাতে যেকোনও রকমের নিরামিষ খাবার খাওয়া যেতে পারে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি দিনভর উপবাস করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করেন মহিলা। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা ছটের মূল উপকরন ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু করেন।

Advertisement

Chhath

[আরও পড়ুন: মন্দিরের মূর্তিতে দেওয়া যাবে না সিঁদুর, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের]

উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি চলে। তারপর বিকালে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এই পুজোর ডালায় ফল ছাড়াও থাকে মূল উপকরণ ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রত করা মহিলারা আবার জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দিয়ে তারপর এই পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় চল্লিশ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ