সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওয়ায় বিষাদের সুর। কৈলাস ফিরে গিয়েছেন মা দুর্গা। ছাতিম ফুলের গন্ধে ভারী হচ্ছে বাতাস। এ যেন মন কেমনের সময়! তবে এবার ঘরে লক্ষ্মী আসার পালা। হাতে আর সময় নেই। বাকি মাত্র একদিন। ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতির ব্যস্ততা। ‘কোজাগরী’ কথাটি এসেছে ‘কে জেগে’ অর্থ থেকে। আর ‘লক্ষ্মী’ শব্দের অর্থ করলে দাঁড়ায় যে মূর্তি সবাই দেখে। লক্ষ্মীকে যশ, ধন সম্পদ ও সাংসারিক সুখ শান্তির দেবী বলে মনে করা হয়। দেবীর পুজো করলে ভক্তদের মনের ইচ্ছাপূরণ হয়! পুজোয় সন্তুষ্ট হলে দেবীর কৃপাদৃষ্টি সারা বছর তাঁদের উপর থাকে।
দেবীর কৃপাদৃষ্টি লাভ করলে সাংসারিক জীবন মধুর হয়ে ওঠে। তবে পুজোর সময়ে কিছু ভুল, জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। পুজোর সময় ভুলেও এই কাজ করবেন না। তাতে দেবী রুষ্ট হতে পারেন।
যে কাজগুলো করবেন না-
১. মায়ের প্রতিমা স্থাপনের ক্ষেত্রে রংয়ের ব্যবহার খেয়াল রাখতে হবে। কালো ও সাদা কাপড়ে যেন মায়ের মূর্তি রাখা না হয়।
২. পুজোতে সাদা রংয়ের ফুলের যেন ব্যবহার না হয়। পরিবর্তে গোলাপি ও লাল রংয়ের ফুল দেবীর চরণে দিন।
৩. দেবীর আরাধনায় তুলসী পাতার ব্যবহার যেন না হয়।
৪. অলক্ষ্মী পুজোর ক্ষেত্রে লোহার বাসন ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে ভুলেও যেন লক্ষ্মী পুজোতে লোহার বাসন ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখবেন।
৫. দেবী লক্ষ্মীকে শান্তির প্রতীকও মানা হয়। যেখানে পুজো হবে সেই জায়গাটি যেন শান্ত থাকে। পুজোর সময় ভুলেও অবাঞ্ছিত শব্দ করবেন না। কাসর বা ঘণ্টা বাজানো থেকে দূরে থাকুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.