সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিদ্ধিদাতার কৃপা ছাড়া কোনও কাজেই সিদ্ধিলাভ হয় না। তাই যে কোনও কাজের শুরুতেই যেমন গণপতিকে স্মরণ করা হয়, তেমনই যে কোনও পুজোপাঠের আগেও গণেশ (Ganesh) পুজো করতে হয়। গণপতিকে প্রসন্ন করার আদর্শ দিন হল বুধবার। কারণ, হিন্দু শাস্ত্রমতে এই দিনটিই গণপতির জন্য উৎসর্গীকৃত। বুধবার ২১টি দুর্বা সহযোগে গণেশের আরাধনা করলে ব্যবসায়িক কাজ-সহ জীবনের সমস্ত কর্মক্ষেত্রেই মেলে সিদ্ধি।
গণপতির আরেক নাম বিঘ্নহর্তা। অর্থাৎ সমস্ত বাধাবিঘ্ন তিনি হরণ করে নেন। সুগম করেন সৌভাগ্যের (Good Luck) পথ। আবার মহাদেব ও পার্বতীর প্রিয় পুত্র গণেশ। তাই তাঁর আরাধনায় তুষ্ট হন হর-গৌরী। তাঁদের আশীর্বাদে কেটে যায় জীবনের সংকট। আর তাই হিন্দুরা পরম ভক্তিভরেই গণেশের আরাধনা করে থাকেন। এক্ষেত্রে সপ্তাহের মধ্যে বুধবারকে গণপতি আরাধনার বিশেষ দিন হিসাবে গণ্য করা হয়। এদিন বিশেষ আয়োজনে গণেশ পুজো করে থাকেন বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
গণেশ পুজোর একটি আবশ্যকীয় উপাদান হল দুর্বা। শাস্ত্রমতে, দুর্বার মধ্যেই আছে অমৃতের অধিষ্ঠান। এমনিতেও দুর্বাকে অনেকে ‘অমরলতা’ বলে থাকেন। অফুরন্ত প্রাণশক্তি থাকার দরুন দুর্বা জীবন ও অমরত্বের প্রতীক। এই দুর্বাই নিবেদন করতে হয় সিদ্ধিদাতাকে। যেভাবে সিদ্ধিদাতা জীবনের অন্ধকার দূর করে সৌভাগ্যের আলো এনে দেন, তা যেন জীবনীশক্তির আধার দুর্বার সঙ্গেই ওতপ্রোত জড়িত।
দুর্বা ও গণপতির বন্ধন শাস্ত্রমতে বেশ নিবিড়। আর তাই গণেশপুজোয় সিদ্ধিদাতাকে ২১টি দুর্বা অর্পণ করা হয়। কখনও আবার দুর্বা দিয়েই গণেশের অবয়ব রচনা করে পুজো করা হয়, গণেশ মূর্তিকে পরানো হয় দুর্বার মালা। এছাড়া গণেশ পুজোয় দিতে হয় জবা (China Rose) বা লাল বর্ণের যে কোনও ফুল। হলুদ (Yellow) রং গণেশের প্রিয় বলে, তাঁর সামনে গোটা হলুদ নিবেদনেরও রীতি আছে। প্রসাদ হিসাবে গণেশকে নিবেদন করা হয় মোদক ও লাড্ডু। গণপতির পুজো শেষে ভক্তরা ১০৮ বার তাঁর প্রণাম মন্ত্র জপ করে থাকেন।
বিধিনিয়ম মেনে বুধবার গণেশপুজোয় কেটে যায় জীবনের বিঘ্ন। সিদ্ধিদাতার শরণ যে শুধু ব্যবসায়ীরাই নেন তা নন। জীবনের যে কোনও সংকট কাটে তাঁরই কৃপাদৃষ্টিতে। তাই বুধবার করে দুর্বা-জবা সহযোগে গণেশ পুজোরই পরামর্শ দেন শাস্ত্রজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.