সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা যিশু খ্রিস্ট, তাও আবার মহিলা। আর সেই মহিলা যিশুই নাকি ভারতে ‘অনুপ্রবেশের’ চেষ্টা করছেন। পাগলের প্রলাপ মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটছে। আর তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন উত্তর-পূর্বের খ্রিস্টান সংখ্যাগুরু রাজ্য নাগাল্যান্ডের গির্জাগুলি।
বিষয়টা খোলসা করে বলতে গেলে একটু অতীতে পিছিয়ে যেতে হবে। বাইবেলের মতে, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করার তিনদিন পর ফের বেঁচে ওঠেন যিশু। ভক্তদের সঙ্গে দেখা করে পরমপিতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এই জায়গাতেই বেঁধেছে গন্ডগোল। ১৯৯১ সালে চিনে আত্মপ্রকাশ করা ‘Eastern Lightning cult’ বা ‘Church of Almighty God’ ধর্মীয় গোষ্ঠীটির মতে, যিশু বেঁচে ওঠেন তা ঠিক, কিন্তু রূপ পালটে তিনি হয়ে যান নারী। তাঁর নাম হয় ইয়াং জিয়াংবিন। ওই গোষ্ঠীটি বাইবেলের নিউ টেস্টমেন্টে বিশ্বাস করে না। বরং ‘The word appears in the flesh’ নামের নিজস্ব বাইবেল তৈরি করেছে তারা।
এদিকে, চিনে লাইটনিং কাল্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও, ভারতের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্য নাগাল্যান্ডে শিকড় মজবুত করছে গোষ্ঠীটি। এই বিষয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগাল্যান্ডের গির্জাগুলি। ‘দ্যা নাগাল্যান্ড বাপটিস্ট কাউনসিল’ (NBCC) তাদের অধীনে থাকা চার্চগুলিকে এই নয়া গোষ্ঠীর প্রভাব এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি NBCC-এর সাধারণ সম্পাদক রেভারেন্ড জেলহউ কিহো একটি চিঠিতে লেখেন, ‘চার্চ অফ অল মাইটি গড’ নামের একটি চিনা ধর্মীয় গোষ্ঠী আমাদের রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা ফেসবুকে বাইবেলের ধাঁচে নানা ছবি ও গল্প লিখে প্রচার চালাচ্ছে। আমি সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, এই মিথ্যা ধর্মটির প্রসার রুখতে সবাই এগিয়ে আসুন।”
নাগাল্যান্ডের যাজকরা মনে করছেন আপাতত রাজ্যে নয়া গোষ্ঠীটির প্রায় ৫০০ জন সদস্য রয়েছে। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যেই তার প্রার্থনা করে। তবে অনেকেই মনে করছেন এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছেছে। কারণ এদের একাধিক ফেসবুক পেজে ফলোওয়ারের সংখ্যা তিন থেকে ছাড় হাজার। সব মিলয়ে এও মুহূর্তে বিশেষ উদ্বিগ্ন নাগল্যান্ডের খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.