Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nadia

শক্তিসাধক গণেশ পাগলের কুম্ভমেলায় মাতোয়ারা দুই বাংলা, উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়

কতদিন চলবে এই মেলা?

Blurring border People throng to celebrate Ganesh Pagoler Kumbh Mela | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 29, 2023 6:27 pm
  • Updated:May 29, 2023 6:43 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: রবিবার থেকে কাটোয়ার (Katwa) একাইহাটে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের এক শক্তিসাধক গণেশ পাগলের কুম্ভমেলা। শুধু এপারে নয়, ওপার বাংলাতেও চলছে এই মেলা। শতাব্দীপ্রাচীন গণেশ পাগলের কুম্ভমেলা ঘিরে দুই বাংলার মধ্যে গড়ে উঠেছে সম্প্রীতির বন্ধন। মেলায় উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মাদারিপুরের কদমবাড়িতে প্রতিবছর ১৩ জ্যৈষ্ঠ থেকে কালীসাধক গণেশ পাগলের কুম্ভমেলা শুরু হয়। একইসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার একাইহাটে ১৩ জ্যৈষ্ঠ অর্থাৎ রবিবার থেকেই এই মেলা শুরু হয়েছে। ভাগবত পাঠ ও শাস্ত্রমতে অধিবাসের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মেলা। চারদিন চলবে। শুরু থেকেই কাতারে কাতারে ভিড়। কালনা, বনগাঁ, গাইঘাটা, শান্তিপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তরা এই মেলায় যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বাপের বাড়ি গিয়ে উধাও বধূ! স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিল হ্যাম রেডিও]

কিন্তু কে ছিলেন গণেশ পাগল? জানা যায়, গণেশ পাগল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার পোলসাইর গ্রামে ১৮৪৮ খ্রীষ্ট্রাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা শিরোমণি এবং মাতা নারায়ণী দেবী। বাবা মা ছিলেন নারায়ণ দেবতার উপাসক। গণেশ পুজার দিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় বাবা-মা তাঁর ছেলের নাম রাখেন গণেশ। ছোট থেকেই ধার্মিক মনোভাবাপন্ন। শ্রী বিন্দু দাস গোসাঁইয়ের শিষ্য ছিলেন গণেশ। তাঁকে ‘কেষ্ট খ্যাপা’ নামেও ডাকা হয়। ১৯২৮ সালে মহাপ্রয়াণ ঘটে গণেশ পাগলের। ১৩১২ বঙ্গাব্দে বাংলাদেশের মাদারিপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় প্রায় ৩৫০ বিঘা জমিতে গণেশ পাগল সেবাশ্রম গড়ে ওঠে।

 

শোনা যায়, প্রায় ১৩৭ বছর আগে ১৩ জন সাধু ১৩ কেজি চাল ও ১৩ টাকা সম্বল নিয়ে ১৩ জ্যৈষ্ঠ কদমবাড়ির দিঘিরপারে ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুকরণ করে গণেশ পাগলের মেলার আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই বছর বছর ওই মেলা হয়। আর কাটোয়ার একাইহাটে ২৩ বছর আগে বাংলাদেশের কুম্ভমেলা অনুকরণ করে এই মেলা শুরু হয়েছে। বাংলা বছরের একই দিনে এই মেলা বসে। চলে চারদিন ধরে। মেলা কমিটির সম্পাদক গোপাল মণ্ডল বলেন, “প্রথম দিকে স্বল্প আয়োজন ছিল। এখন মেলা বড় আকার নিয়েছে। মেলায় সকল ভক্তদের জন্য ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে।” একাইহাটের বাসিন্দা নীতিশ ঘরামী, গৌরাঙ্গ গায়েনরা বলেন, “এই মেলায় বাংলাদেশ থেকেও অনেক ভক্ত যোগ দেন। এমনকী অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ অনুষ্ঠানে আসেন। সকলের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন গড়ে ওঠে।”

[আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে পড়ায় সারমেয়কে হাঁসুয়ার কোপ! প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় পোষ্যমালিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement