সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদায় নিয়েছে ২০২৪। ২০২৫ সালে সৌভাগ্যের স্পর্শ চাইছেন সকলেই। কিন্তু দুঃখ-কষ্ট কি এমনিই দূর হয়? কথিত আছে, রোজ হনুমান চালিশা পাঠ করলেই জীবন হবে সুখকর।
হনুমানকে অমরত্বের বর দিয়েছিলেন মা সীতা। বজরংবলীর কৃপা পেতে গেলে রাম-সীতার নামও জপ করতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে রোজ পড়তে হবে হনুমান চালিশা। বলা হয়, এতে মন শুদ্ধ হয়। আত্মা হয় পবিত্র। সমস্ত ‘নেগেটিভ এনার্জি’ দূরে সরে গিয়ে মনের গভীরে শান্তি বিরাজ করে। পাশাপাশি নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করলে আপনার রক্ষাকর্তা হয়ে উঠবেন সঙ্কটমোচন। মুক্তি মিলবে শনির সাড়ে সাতি দশার থেকেও।
হনুমান শক্তি ও সাহসের প্রতীক। তাই হনুমান চালিশা নিয়মিত পড়লে সেই শক্তি ও সাহস মনের ভিতরে স্থায়ী বাসা গড়ে। যে কোনও বাধাবিপত্তির মোকাবিলা করার প্রেরণা জোগায়। তাছাড়া সুর করে এটি পাঠ করলে তার ছন্দ ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে। মনকে করে আলোময়। ফলে মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়ায়। ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান খুঁজে পায় মানুষ। দূর হয় সব বাধা। কেবল মানসিক স্বাস্থ্যই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
দৈনিক হনুমান চালিশা পাঠের যদি সময় নাও পান, প্রতি শনি-মঙ্গলবার যেন অবশ্যই তা করবেন। মোট ৪০টি চৌপাই রয়েছে হনুমান চালিশায়। এর মধ্যে ৫টি মন্ত্র পাঠ করলে সব বিপদ দূরে থাকে। সেগুলি হল- ১) ‘রামদূত অতলিত বলধামা৷ অঞ্জনিপুত্র পবনসুত নামা৷’ ২) ‘মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী৷ কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী৷’ ৩) ‘বিধবান গুণী অতি চাতুর৷ রামকাজ করিবে কো আতুর৷’ ৪) ‘ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে৷ রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে৷’ ৫) ‘লায়ে সঞ্জীবন লক্ষ্মণ জিয়ায়ে৷শ্রী রঘুবীর হরষি ওর লায়ে৷’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.