রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পুজোর (Durga Puja 2021) আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। প্রতিবছর এই সময় ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে। তবে এবারের ছবিটা ভিন্ন। গতবারের মতো এবারও করোনার কোপ পড়েছে ব্যবসায়। মেলেনি শোলার কাজের বরাত। বন্ধ অধিকাংশ কারখানা। খাঁ খাঁ করছে গোটা এলাকা।
পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) দু’নম্বর ব্লকের ঝুরিয়া, জুনপুকুর, চন্দনপুর, পটাশপুর, বড়কুমার-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশো পরিবার যুক্ত শোলার কাজে। পুজো মানেই তাঁদের কাছে ছিল দ্বিগুণ আনন্দ। কারণ, শুধুই যে মা আসবেন তা নয়, মিলবে কাজ। উপার্জনের সুযোগ সেই সময়ই থাকে সব থেকে বেশি। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালে পুজোয় অনেকটাই কাঁটছাট করে ক্লাবগুলি। কমিয়ে ফেলা হয় বাজেট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শোলা শিল্পীদের কাজেও কোপ পড়েছিল। তবে আশা ছিল, চলতি বছরে ক্ষতি পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু ছবিটা উলটো হল।
চলতি বছরেও পুজো হবে ঠিকই। তবে বাজেট কমেছে। ফলে এবার কার্যত বরাত পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের শোলার শিল্পীরা। বন্ধ অধিকাংশ কারখানা। বাধ্য হয়ে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা পাড়ি জমাচ্ছেন ভিন রাজ্যে। শিল্পীদের কথায়, “গতবছর করোনার (Corona Virus) জন্য লকডাউন হয়েছিল। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। গতবছরের অনেক জিনিস গোডাউনে মজুত রয়েছে। এদিকে এবছর এখনও তেমনভাবে মেলেনি অর্ডার।”
এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ বলেন, “ব্যবসা যে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তেমনটা নয়। লোকসানে চলছে।” তবে কাজের সন্ধানে বাইরে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এই কাজের সঙ্গে মূলত গ্রামের মহিলারা যুক্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কতটা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সেদিকটা আমরা বিবেচনা করে দেখব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.