ছবি: প্রতীকী
অভিরূপ দাস: পুজোর (Durga Puja) সময়েও প্রতিদিন খোলা থাকবে মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত পরিষেবা। কোভিড যোদ্ধারা থুড়ি চিকিৎসকরা যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁরা পুজোর সময়েও যুদ্ধক্ষেত্র অর্থাৎ হাসপাতালেই থাকবেন। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা অতিমারীর শুরু থেকে বাড়ি যেতে পারেননি, বা খুব বেশি হলে একবার গিয়েছেন। কবে যেতে পারবেন তার ঠিক নেই। সে কারণেই করোনা চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এবছর মণ্ডপ বেঁধে, প্রতিমা এনে দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদিকে চিকিৎসকদের একাংশ যখন উৎসব মুলতুবি রাখার পক্ষে সওয়াল করছেন তখন কীভাবে চিকিৎসকদের একটা অংশ দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা।
হাসপাতাল চত্বরে দুর্গাপুজো করতে চেয়ে চিকিৎসকদের একাংশ সপ্তাহদুয়েক আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। দিন পনেরোর টানাপোড়েন শেষে বয়েজ হস্টেলে সেই পুজোর অনুমতি মিলেছে। অতিমারীর সময় খাস করোনা হাসপাতালে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে এমনও মত অনেকেরই। প্রশ্ন উঠছে পুজোর প্রথম শর্তই হচ্ছে, একজোট হতে হবে। করোনা (Coronavirus) হাসপাতালে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগীরা আসেন। তাঁদের চিকিৎসা হয়। তাই সেখানে পুজোর আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন স্বাভাবিক।
তবে মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College & Hospital) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, সাত মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম চলছে। চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীরা বহুদিন বাড়ি যাননি। পরিজনদের সঙ্গে দেখা হয়নি। সাতদিন ডিউটি এবং ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে দিন কাটছে। তাই হস্টেল চত্বরের এই পুজো তাঁদের মানসিক স্বস্তি দেবে। কটাদিন উৎসবের আমেজ থাকলে তাঁদেরও মন ভাল হবে। তাঁদের আরও বক্তব্য, পুজোর জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হস্টেল প্রাঙ্গণ। মেডিক্যাল কলেজের পুজোর আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকা চিকিৎসকদের যুক্তি হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে অনেকটা নিরাপদ দূরত্বে এই মেন হস্টেল প্রাঙ্গণ। ফলত সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা শূন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.