Advertisement
Advertisement
Kolkata High Court puja pandal

সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ, জনস্বার্থ মামলায় রায় কলকাতা হাই কোর্টের

পুজোর পর রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রিপোর্ট জমার নির্দেশ।

No one can allows in puja pandal oredered Kolkata High Court ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 19, 2020 3:14 pm
  • Updated:October 19, 2020 8:01 pm  

শুভঙ্কর বসু: এবার পুজো হবে দর্শকশূন্য। পুজো মণ্ডপের মধ্যে কোনও দর্শক প্রবেশ করতে পারবে না। ১৫ থেকে ২৫জন পুজো উদ্যোক্তাই শুধু প্রবেশ করতে পারবেন। সমস্ত পুজো মণ্ডপের বাইরে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড (No Entry Board)। সমস্ত পুজো মণ্ডপ কনটেনমেন্ট জোন। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্লাবগুলির তরফ থেকেও বাড়াতে হবে সচেতনতা। রাজ্যের পুজো মামলায় রায় কলকাতা হাই কোর্টের। নির্দেশ কতটা মানা হল পুজোর পর সেই রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের।

করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে মাসের পর মাস বন্ধ স্কুল, কলেজ। বহু মানুষ হারিয়েছেন প্রাণ। এই অবস্থায় পুজো হোক কিন্তু উৎসব নয়। এই দাবি জানিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী অজয়কুমার দে। হাওড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির মামলারই শুনানি চলছিল দিনকয়েক ধরেই। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিবকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে সোমবার রাজ্যের তরফে কোনও ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়া হয়নি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিৎপুরের ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুতে গ্রেপ্তার পুলিশ-সহ ৩, রহস্যভেদের চেষ্টায় তদন্তকারীরা

সোমবার সকালে মামলার প্রথম পর্যায়ের শুনানির পর্যবেক্ষণে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, পুজোর (Durga Puja 2020) সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িত। তাই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকলে সেখানে জড়ো হবেনই উৎসবপ্রেমীরা। এছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত ছবি দেখেই ভিড় কতটা হতে পারে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে পুজোয় ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার পুলিশের কথা বলা হয়েছে। তবে তা ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আদালত আরও জানিয়েছিল, সেক্ষেত্রে পুজো মণ্ডপগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন (Containment Zone) করে দেওয়া হোক। এছাড়াও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। মণ্ডপগুলিতে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তাদের ঢোকার বন্দোবস্ত থাক। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সদস্যদের তালিকা জমা দিতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে মামলার শুনানির পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)। করোনার কথা মাথায় রেখে চলতি বছর পুজোয় মণ্ডপে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।  পুজো সংক্রান্ত মামলায় কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আপামর রাজ্যবাসী। ১৫ থেকে ২৫ জন  পুজো উদ্যোক্তারাই শুধু প্রবেশ করতে পারবে। সমস্ত পুজো মণ্ডপের বাইরে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড। যে পুজো উদ্যোক্তারা কোভিডবিধি মেনে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাই কোর্টের রায়ে মনমরা তাঁরা।

[আরও পড়ুন: করোনা ‘নেগেটিভ’ হয়েও শেষরক্ষা হল না, ছুটির পরই মৃত্যু এএসআইয়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement